Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চিতা নিয়ে নৌটঙ্কি বনাম আত্মহত্যার পাঁচালি
সন্দীপন বিশ্বাস

এরাজ্যে শুরু থেকেই বিজেপির অস্তিত্ব অনেকটা নেতিয়ে যাওয়া বাসি কচুরির মতো। মোদি-শাহরা মাঝেমাঝে এসে কিছুটা গরম করে দিয়ে যান বটে, কিন্তু আবার তাঁরা দিল্লি ফিরে গেলেই এখানকার নেতৃত্ব নেতিয়ে পড়ে। ইদানীং গেরুয়া বাহিনীর নেতাদের মনে হয়েছে, দলকে চাঙ্গা করার জন্য একটা আন্দোলনের দরকার। অনেক বড় আন্দোলন, যা নাড়িয়ে দেবে রাজ্যকে। এটা অবশ্য একটা থিওরি। যে কোনও দলের উত্থানের জন্যই দরকার জনগণকে সামনে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন। বিজেপিও সেই আন্দোলনের পথেই গিয়েছিল। আন্দোলনের নামে কেন্দ্রীয় বিজেপির  ঢালাও ফান্ড থেকে রাজ্য নেতারা ১১ কোটি টাকা আদায় করে এনেছিলেন বলে কানাঘুষো ছড়িয়েছে। রাজ্য নেতারা কথা দিয়েছিলেন, এই টাকাটা খরচ করে রাজ্য বিজেপি খুব নাম করবে, রাজ্যে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। পাপা কহতে হ্যায় বড়া নাম করেগা, বেটা হামারা অ্যায়সা কাম করেগা। কিন্তু বেটা এমন কোনও কাম করতে পারল না, যাতে তাদের মুখ উজ্জ্বল হয়। উল্টে মুখ পোড়াল পরিকল্পনার অভাবে। আসলে টাকা ঢেলে ভিন রাজ্য থেকে হাড্ডাগোড্ডা গেরুয়া হার্মাদদের এনে যে আন্দোলন সফল করা যায় না, তার প্রমাণ বিজেপির সাম্প্রতিক আন্দোলন। ভাড়াটে সেনা দিয়ে গুণ্ডামি করা যায়, অগ্নিসংযোগ করা যায়, প্রকৃত আন্দোলন করা যায় না বা সেই আন্দোলন মানুষের মনে রেখাপাত করে না।
এই যে সব তত্ত্ব, তা কি বিজেপি নেতারা জানেন না? সব জানেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, এত জ্ঞানগম্যি থাকা সত্ত্বেও সেদিন বিজেপির ভাড়াটে সেনারা অমন তাণ্ডব করল কেন? উত্তর সহজ। সেই তাণ্ডবের লক্ষ্যেই ছক কষে তাদের নামানো হয়েছিল। প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল, তাণ্ডবকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, যেখানে পুলিস গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তাই পুলিসের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে, পদস্থ পুলিস কর্তাকে নির্মমভাবে ঠেঙিয়ে, প্রচুর ইষ্টক ক্ষেপণ করে পুলিসকে গুলি চালানোয় বাধ্য করতে চেয়েছিল তারা। তার কারণ আন্দোলনের পিছনে বিজেপির লক্ষ্য  ছিল, লাশ। লাশ চাই, লাশ। যে লাশকে উত্থানের সিঁড়ি করে অনেক উপরে ওঠা যায় এক তুড়িতে, যে লাশকে সামনে রেখে রাজ্যের মানুষের সহানুভূতি আদায় করা যায় সহজেই, যে লাশকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানো যায়। রাজ্য পুলিস বিজেপির এই মোক্ষম ছকটা ধরে ফেলে। তাই তারা বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দেয়নি। আর সেখানেই বিজেপির অসহায়তা এবং অবসাদ। পুলিসের এই ছকটা দ্রুত বুঝে ফেলার পরই বহু বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার বরণ করে লালবাজারের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে চলে যান। অনেকে আন্দোলনের ঝাঁপ গুটিয়ে ফেলেন। তাঁরা বুঝে যান, সারাদিন অকারণ আন্দোলন আন্দোলন খেলা করে আর লাভ নেই। 
অবশ্য এখন এসব নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মাথা ঘামানোর সময় কোথায়! চুলোয় যাক ওসব আন্দোলন! তার থেকেও বড় ‘কারিয়াক্রম’ নিয়ে ব্যস্ত দলের ‘কারিয়াকর্তারা’। তাঁরা এখন মোদিজির জন্মদিন পালন নিয়ে ব্যস্ত। ১৫ দিনের মোদিপক্ষ পালন করে তাঁর দুর্নাম কিছুটা খণ্ডন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি সব সাবজেক্টেই ফেল। বেরোজগারি দূরীকরণ, অর্থনীতি, ব্যাঙ্কিং সেক্টর, মূল্যবৃদ্ধি রোধ কর্মসূচি, গণবণ্টন ব্যবস্থা, ধর্মনিরপেক্ষতা। পাশ শুধু সাম্প্রদায়িক বিভেদে। এরকম অজস্র ফেলের রূপকার নব ফেলুদার ভাবমূর্তি ফেরাতে অনেক গবেষণা করে অবশেষে আনা হল চিতা। চিতা এলেই নাকি ভারতের মানুষের ভাগ্য ফিরে যাবে। নোট বাতিল দেশের ভাগ্য ফেরাতে পারেনি, জিএসটি পারেনি, বল্লভভাই প্যাটেলের সুবিশাল মূর্তি পারেনি, রামমন্দিরের ঢক্কানিনাদ পারেনি। সিএএ-এর চেষ্টা পারেনি, কৃষক বিল আনার চেষ্টা পারেনি, এবার তাই তাঁর চিতাতেই ভরসা। এভাবে কি সত্যিই লুটিয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি ফেরানো সম্ভব? এভাবে কি নিজেকে বিকল্প মহাত্মা হিসেবে তুলে ধরা সম্ভব? কিন্তু বিজেপির কিছু করার নেই। তৃতীয়বারের জন্য বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে তাঁর নামেই ফাটকা খেলতে হবে। তাঁর নামেই যে বিজেপির বক্স অফিস। তাই ২০২৪ সালের আগে তাঁর ভাবমূর্তিকে চুনকাম করতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মোদি-কীর্তনের ঢালাও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 
আসলে এই যে চিতা ছেড়ে দেশজুড়ে একটা প্রচারের তোলপাড় তুলে তাঁর ভাবমূর্তি বাড়ানোর খেলা চলছে, সে তো এসেছে একটা আতঙ্ক থেকেই। সেটা ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক। সেই সঙ্গে ব্যর্থতাকে ঢাকা দেওয়ার তুমুল চেষ্টা শুরু হয়েছে নানা প্রক্রিয়ায়। কিন্তু তাঁর পিছনে ফেলে আসা ব্যর্থতার আবর্জনাগুলি কোনওভাবেই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মধ্য দিয়ে সাফাই করা যাবে না। 
মোদিভক্তরা বলেন, তিনি নাকি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু ইদানীং তাঁর কাজে আত্মবিশ্বাসের ছায়া ক্রমেই অপসৃয়মান হয়ে উঠছে। যেন শেষ বিকেলের নিভু আলোর মতো। তাঁর মুখে আমরা বারবার শুনেছি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা। দীর্ঘদিন ধরে একই কথা রেকর্ডের মতো আওড়ালেও সেই আত্মনির্ভরতার কোনও লক্ষণই আমাদের দেশের কোথাও ফুটে ওঠেনি। তা শুধুই মুখের কথা হয়ে থেকে গিয়েছে। আমরা দেখেছি মোদির আত্মনির্ভর ভারত স্লোগান ক্রমেই রূপান্তরিত হচ্ছে আত্মহত্যার ভারতে। এত মৃত্যু, এত অবসাদ, এত হাহাকার, এত ঘৃণা!  শেষ পর্যন্ত মোদি শাসনের ব্যর্থতা দেশের ঘরে ঘরে মানুষের জীবনকে অসহায় করে তুলছে। অনন্যোপায় মানুষ বেঁচে থাকার কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে নিজেই নিজের জীবনে দাঁড়ি টেনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর প্রকাশিত রেকর্ড বলছে, এ যাবৎ ভারতে সব থেকে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ২০২১ সালে। মোদি জমানায় গত পাঁচ বছরে হু হু করে বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। ২০১৭ সালে দেশে মোট আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৮৭। ২০১৮ সালে সেটা হয় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫১৬, ২০১৯ সালে মোট আত্মহত্যা করেন ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৩ জন। ২০২০ সালে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫২ জন আত্মহত্যা করেন। ২০২১ সালে সেটাই দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৩ জনে। অর্থাৎ এখন দেশের প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ১২ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
২০২১ সালে কোন কোন কারণে মানুষ আত্মহত্যা করেছেন? একটু রিপোর্টে নজর দেওয়া যাক। রিপোর্ট বলছে, ২৫.৬ শতাংশ দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। করোনার সময় দেশের দরিদ্র মানুষদের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে পারেনি মোদিজির সরকার। বহু পরিযায়ী শ্রমিক চাকরি খুইয়ে শত শত কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। করোনার সময় তাঁরা স্ত্রী, সন্তানদের মুখে খাদ্যের জোগান দিতে পারেননি। তাই সেই যন্ত্রণা তাঁদের ঠেলে দিয়েছে আত্মহননের পথে। ৮.৪ শতাংশ বেকার যুবক, চাকরি হারানো মানুষ এই সময়ের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন। ৯.৭ শতাংশ চাকরিজীবী মানুষ আত্মহত্যা করেছেন, ৬.৬ শতাংশ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন, ১২.৩  শতাংশ স্বনির্ভর তথা ব্যবসায়ী, হাতের কাজ জানা মানুষ তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এসব রিপোর্ট পড়লে কি লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে না?
এর পিছনে কেউ যদি কারণ হিসেবে মোদি শাসনের অপদার্থতাকে চিহ্নিত করেন, তিনি কি ভুল করবেন? মানুষের মুখে ভাত তুলে দিতে তিনি ব্যর্থ। মানুষের রোজগার কমেছে তাঁর সময়ে। তাঁদের  চাকরির পথ খুলে দিতে পারেননি। উল্টে কেড়ে নেওয়া হয়েছে চাকরি। তার বদলে তিনি চিতা নিয়ে খেলায় মেতেছেন। নিজের জন্মদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে উৎসবের আবহ তৈরি করছেন। মানুষের ঘরে ঘরে আঁধার, আর সরকারি টাকা জলে ঢেলে জন্মদিনের উৎসবের রোশনাই জ্বলছে! একথা আজ জানতে পারলে নিরোও হাসবেন। আমাদের কিন্তু আজ আর হাসি পায় না। মানুষের যিনি হিত করতে পারেন না, তিনি যখন চিতা এনে নিজেরই জন্মদিন পালনের ঘটা করেন, তখন সেই বিষয়টাকে ফ্লপ নৌটঙ্কি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।  
21st  September, 2022
কংগ্রেসের ভোটরঙ্গ ও চিতার অট্টহাসি!
হিমাংশু সিংহ

পরিবারই আশীর্বাদ, আবার পরিবারই অভিশাপ! তাকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর বৃদ্ধ বয়সে আলেকজান্ডারের দাঁতের মাজন বেচা, প্রায় সমার্থক। নেহরু-গান্ধী পরিবার বাদে শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা অনেকটাই সোনার পাথরবাটির মতো! বিশদ

বিজেপির গিমিক পলিটিক্স
বনাম ‘লালগুণ্ডা’
তন্ময় মল্লিক

শত্রুর শত্রু, আমার বন্ধু। এই নীতিতেই বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে গড়ে উঠেছিল পারস্পরিক বোঝাপড়া। এক সুরে বাঁধা ছিল মমতা বিরোধী লড়াই। বিজেপিকে দিয়েই সিপিএম তাদের ‘পথের কাঁটা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চেয়েছিল। তাই শুরু হয়েছিল গোপন ক্যাম্পেন, ‘একুশে রাম ছাব্বিশে বাম’। তার পরিণতি? বিজেপি ৭৭, সিপিএম জিরো।
বিশদ

24th  September, 2022
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সিলেবাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কিন্তু একদিনের জন্যও নিজের অস্তিত্ব ও উপস্থিতি জনগণকে ভুলতে দিতে চান না। তাই নিয়ম হল, প্রতিদিনই কোনও না কোনও অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন,  উদ্বোধন করছেন, এমনকী রাজ্যের ক্ষুদ্র প্রকল্পেরও সূচনা করছেন তিনি। ফলে ভারতবাসী রোজ তাঁর কথা শুনছে। অতীতের প্রধানমন্ত্রীরা ভাবতেন, কাজের মাধ্যমেই ইতিহাসে স্থান হয়। মোদি ভাবেন, কাজ করছি এই প্রচারটি এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে জনমনে বিভ্রম তৈরি হয় যে, হ্যাঁ, তাহলে বোধহয় সত্যিই কাজ হচ্ছে। ওই বিভ্রমই হবে ইতিহাস।
বিশদ

23rd  September, 2022
জ্ঞানবাপী মামলা, উত্তেজনার চোরাস্রোত
মৃণালকান্তি দাস

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার নাকি উত্তেজনার চোরাস্রোতে ভাসছেন! ইতিউতি যা মন্তব্য করছেন তাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে সেই উত্তেজনা। 
বিশদ

22nd  September, 2022
মহাত্মা হওয়ার লড়াই!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কর্তৃত্বের সঙ্কট? নাকি অস্তিত্বের? ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ১২ দিন পরও এই প্রশ্নটার উত্তর কিছুতেই মিলছে না। রাহুল গান্ধী হাঁটছেন। আমরাও দেখছি, শুনছি এবং বোঝার চেষ্টা করছি।
বিশদ

20th  September, 2022
আজাদি, স্বায়ত্তশাসন ও গুলাম নবি আজাদ
পি চিদম্বরম

কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭ সাল থেকে দুটি বিরুদ্ধ ধারণা রয়েছে। সময়ে সময়ে ধারণাগুলির রূপান্তরিত হয়েছে নানাভাবে। এই ঘটনার প্রভাবে এটাই মনে হয় যে কাশ্মীর সম্পর্কে ধারণা রয়েছে দুটির বেশিই।
বিশদ

19th  September, 2022
প্রধানমন্ত্রীই দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাণ্ডারী  
নীতিন গাদকারি

একটি স্বনির্ভর জাতি গঠনের জন্য, নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সাল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। তাঁর ভারতে সমাজের সমস্ত অংশের মানুষ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। 
বিশদ

18th  September, 2022
দেবীপক্ষের আগেই মোদিপক্ষ!
হিমাংশু সিংহ

একই সপ্তাহে বঙ্গজীবনে পরপর দুটো চমক। প্রথমটা, ৬১ বছর পর উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেনের সাড়া জাগানো ছবি সপ্তপদীর রোমহর্ষক ‘রিমেক’ এবং নাটকীয়ভাবে রাজপথে পুলিসি ঘেরাটোপে পুরুষ রিনা ব্রাউনের সন্ধান! আন্দোলনের ময়দানে দাঁড়িয়ে ‘জেন্ডার নিউট্রাল’ পুলিসের কাছে দলবদলু এক নেতার করুণ আর্তি ‘আমাকে ছুঁয়ে দিও না’।
বিশদ

18th  September, 2022
বাঘ ও বাঘের মাসির
ফারাক দেখল বাংলা
তন্ময় মল্লিক

বঙ্গ বিজেপি বুঝিয়ে দিল, রাজ্যে দ্বিতীয় হওয়ার লড়াইয়ে সিপিএমকে তারা এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়তে নারাজ। তাদের বিশ্বাস, জঙ্গি আন্দোলন করলেই ফিরবে নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের আস্থা। তাই সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে গুণ্ডামির প্রতিযোগিতা। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে দুই দলের মধ্যে ‘সুপার লিগে’ টিকে থাকার লড়াই ততই হবে তীব্র।
বিশদ

17th  September, 2022
সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি, সর্বোচ্চ
বেকারত্ব, ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার ২০২২ সালকে প্রচার করছে অমৃতকাল আখ্যা দিয়ে। এই যদি অমৃত হয়, গরল কাল কাকে বলে? কারণ, সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি, সর্বোচ্চ বেকারত্ব এবং জীবিকা থাকা সত্ত্বেও আয় কমতে থাকা, এই তিন প্রবণতা আমাদের আড়ালে এক সম্পূর্ণ বৈষম্যের আগ্নেয়গিরির জন্ম দিচ্ছে। প্রবল এক রাগ জমে উঠছে সমাজে। যার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যাবে আমরা জানি না। বিশদ

16th  September, 2022
কোহিনুর ফেরত চাওয়া কি অন্যায়?
মৃণালকান্তি দাস

দিল্লি শহরকে কচুকাটা করে পারস্যে ফিরে গিয়েছিলেন নাদির শাহ! ১৭৩৯ সালের প্রখর গ্রীষ্মে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মুঘল সাম্রাজের যাবতীয় ধনরত্ন। ৭০০ হাতি, ৪ হাজার উট ও ১২ হাজার ঘোড়ার পিঠে বোঝাই করে। সোনাদানা, মণিমুক্তো ছাড়াও লুট করা ওই ধনরত্নের মধ্যে থেকে ছিল শাহজাহানের ময়ূর সিংহাসনও।
বিশদ

15th  September, 2022
ম্যাজিক ফিগার কোনও
জাদুতে ছোঁয়া যাবে না
হারাধন চৌধুরী

এমন কৌশল জ্যোতি বসুর আমল থেকে এপর্যন্ত অনেকবারই হয়েছে। কিন্তু আজও কেন তা উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মুখ দেখেনি? অবিজেপি দলগুলিকে দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। উদ্যোগী হতে হবে সেইমতোই। একমাত্র সমাধান—স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবিধান মিলিয়ে—জনস্বার্থকে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া। হাত তুলে জানাক কারা রাজি, তবেই বোঝা যাবে মহাজোটের আকাঙ্ক্ষা আদৌ কতটা আন্তরিক। বিশদ

14th  September, 2022
একনজরে
শনিবার দত্তপুকুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় এক আশা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত আশা কর্মীর নাম প্রতিমা দাস (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে, দত্তপুকুর থানার নরসিংহপুর এলাকায়। দত্তপুকুর থানার পুলিস ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করেছে।  ...

শিল্পাঞ্চলে প্রতি বছর পুজো শুরু হয় ধেনুয়ার কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রম থেকে। মহালয়ার দিন আসানসোল, কুলটি, রানিগঞ্জে পুজো উদ্যোক্তারা যখন প্রস্তুতিতে মগ্ন, তখন এখানে শুরু হয়ে যায় পুজো। এখানে একদিনেই ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পুজো হয়ে যায়। ...

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুধুই সম্ভাব্য বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ভরসায় থাকা নয়। বরং একক শক্তিতে তারা যে পিছিয়ে নেই, জাতীয়স্তরে সেই বার্তা দিতেই আপাতত মরিয়া সিপিএম তথা বামদলগুলি। ...

ফের খবরের শিরোনামে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে এক মহিলাকে হঠাৎ চিনতে পারেন তিনি। বলেন মহিলার যখন মাত্র ১২ বছর বয়স তখন থেকে তাঁকে চিনতেন। বাইডেনের এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৫২৪ - বিশিষ্ট নৌ-অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামা পর্তুগালের ভাইসরয় হিসেবে তৃতীয় ও শেষবারের মতো ভারতে আসেন
১৬৩৯ - আমেরিকায় প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয়
১৮৯৭ - প্রথম ব্রিটিশ বাস সার্ভিস চালু হয়
১৯৩৩ - রঙ্গমঞ্চ ও চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা  সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম 
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসুর জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার  হানসি ক্রনিয়ের জন্ম
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু
২০২০ - সঙ্গীতশিল্পী  এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যমের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.০৮ টাকা ৮১.৮২ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৪১ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৮.১২ টাকা ৮১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
24th  September, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। অমাবস্যা ৫৪/৪৭ রাত্রি ৩/২৫। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/২৯/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/২৭/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৮ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। অমাবস্যা রাত্রি ৩/২৫। পূর্ব্বফাল্গুনী নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/৪। সূর্যোাদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে।
২৮ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি-২০: অষ্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত

10:41:19 PM

তৃতীয় টি-২০: ভারত- ৯১/২ (১০ ওভার) টার্গেট- ১৮৭

09:45:00 PM

তৃতীয় টি-২০: ভারতকে ১৮৭ রানের টার্গেট দিল অষ্ট্রেলিয়া 

08:50:00 PM

তৃতীয় টি২০: অস্ট্রেলিয়া ৮৬/৪ (১০ ওভার)

07:56:34 PM

তৃতীয় টি২০: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ভারতের অধিনায়কের

06:33:00 PM

দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:20:00 PM