যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ
ভ্রমণপিপাসু তথা তীর্থযাত্রায় উদগ্রীব বাঙালির স্বপ্নের স্থান কেদারনাথ। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বাবা ভোলানাথের দর্শনে কেদারনাথের পথে পাড়ি দেন। তবে এই পথ সহজ নয়। এজন্য আর্থিক সঙ্গতিও থাকতে হয়। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে কেদার ধামে যেতে পারেন না। এবার ইসলামপুর আদর্শ সঙ্ঘের পুজোয় কেদারনাথ মন্দিরের আদলে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে। এই মণ্ডপ দর্শন করে কিছুটা হলেও কেদারনাথের স্বাদ নিতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
আদর্শ সঙ্ঘের পুজো কমিটির সম্পাদক দেবাংশু দাস বলেন, এবার আমাদের পুজোর ৫৮তম বর্ষ। প্রতিবছর আমাদের পুজোয় চমক থাকে, এবারও থাকবে। কেদারনাথের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। এবার আমাদের বাজেট ২২ লক্ষ টাকা। কেদারনাথে পূজিত হন শিব। তাই এখানে বিশালাকার পর্বত তৈরি করা হচ্ছে। পর্বতের শীর্ষে থাকছে বাবা ভোলানাথের মূর্তি। পর্বতের গুহায় প্রবেশ করে দেবী প্রতিমা দর্শন করতে হবে। অজন্তা মডেলের দেবীর মূর্তি থাকছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে।
বাসিন্দারা বলছেন, শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম আদর্শ সঙ্ঘের পুজো। প্রতি বছর তাদের পুজোয় নতুন কী চমক থাকছে, তা দেখার জন্য সবারই গভীর আগ্রহ থাকে। গত দুই বছর করোনার জেরে পুজোর বাজেটে কিছুটা কাটছাঁট হয়েছে। তবে এবছর পুজোয় করোনার তেমন প্রভাব না থাকায় সকলেই এখন থেকে মেতে উঠেছে। বাস টার্মিনাসের পিছনে শহরের প্রাণকেন্দ্র এই এলাকায় এমনিতেই লোকজনের জমায়েত হয়। পুজোর দিনগুলি আরও জমজমাট থাকে। প্রতি বছরই শহরের মধ্যে সুনাম অর্জন করে আদর্শ সঙ্ঘ। এবছরও শহরবাসীর উৎসাহ রয়েছে। সকলেই জানতে চাইছে এবারের পুজোয় আকর্ষণ কী থাকছে। পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, করোনা নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশিকা এলে মানা হবে। প্রতি বছরের মতোই প্রবেশ ও বাহির পথ আলাদা থাকছে। সেই সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে যাতে ভিড় সামাল দেওয়া সহজ হয়। -নিজস্ব চিত্র