Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কংগ্রেসের ভোটরঙ্গ ও চিতার অট্টহাসি!
হিমাংশু সিংহ

পরিবারই আশীর্বাদ, আবার পরিবারই অভিশাপ! তাকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর বৃদ্ধ বয়সে আলেকজান্ডারের দাঁতের মাজন বেচা, প্রায় সমার্থক। নেহরু-গান্ধী পরিবার বাদে শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা অনেকটাই সোনার পাথরবাটির মতো! ১৯৯৭ সালে নির্বাচনের মাধ্যমেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন দলঅন্তপ্রাণ একনিষ্ঠ সৈনিক সীতারাম কেশরী। আজীবন পরিবারের সেবায় নিয়োজিত। খুব একটা বলিয়ে কইয়ে ধোপদুরস্ত ঝকঝকে কাঁধ ঝাঁকানো নেতা তিনি ছিলেন না। তবুও তাঁর কাছে সেদিন পরাজিত হন হেভিওয়েট শারদ পাওয়ার ও রাজেশ পাইলট। সবাই ভেবেছিল, পরিবারকে বিদায় দিয়ে শতাব্দী প্রাচীন দলটায় বুঝি নতুন হাওয়া বইতে শুরু করল। কিন্তু তা হয়নি। ঠিক কী পরিণতি হয়েছিল একনিষ্ঠ সেবক কেশরীর, তা সবারই জানা। মাত্র একবছর যেতে না যেতেই নাটকীয়ভাবে নির্বাচিত দলীয় প্রধানকে ছুড়ে ফেলে সোনিয়া গান্ধী সভাপতির আসন দখল করেন। এবং তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করতেই তাঁর সমর্থনে প্রায় প্রতিটি প্রদেশ কংগ্রেসের থেকে প্রস্তাব পাশ করে সীতারাম কেশরীকে গলাধাক্কা দেওয়ার পথ প্রশস্ত করা হয়। সেই ১৯৯৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দলীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ইতালির মাইনো পরিবারের কন্যাই। কঠিন অসুখ নিয়ে টানা এতগুলি বছর। দেশের প্রাচীনতম জাতীয় রাজনৈতিক দলের দীর্ঘতম সময়ের সভানেত্রী একজন বিদেশিনী! আজ নেহরু কিংবা গান্ধীজি বেঁচে থাকলে কী বলতেন জানি না। তবে লাঠি হাতে জাতির জনক চরকা কাটা ঋজু মানুষটার কপালের ভাঁজ যে আরও গভীর হতো, তা হলফ করে বলতে পারি। 
সোনিয়া যখন দায়িত্ব নেন তখন কেন্দ্রে বাজপেয়ি জমানা। একটার পর একটা ইস্যুতে হিন্দুত্ববাদীরা টগবগ করে ফুটছে। সঙ্গে উন্নয়নের দু’শো ফিরিস্তি, যার মার্কেটিং করা হয়েছিল ‘ফিলগুড’ নামে। তবুও শেষরক্ষা হয়নি আদবানিদের। নাটকীয়ভাবে ৬ বছরের মধ্যে জাতীয় রাজনীতি অদ্ভুত এক পালাবদলের সাক্ষী হয়। পতন হয় বিজেপি সরকারের। এবং সোনিয়ার সমর্থন ও সৌজন্যে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন কূটকচালির রাজনীতিতে ব্রাত্য, অর্থনীতির পণ্ডিত মনমোহন সিং। টানা দশ বছর দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলেও এই মুহূর্তে অবস্থান একেবারে খাদের কিনারায়। মোদি ও অমিত শাহের যুগলবন্দির দৌরাত্ম্যে চরম অস্তিত্ব সঙ্কটে রুগ্ন। মনমোহন জমানার ছিটেফোঁটা কৃতিত্বও আজ আর মানুষের মনে বেঁচে নেই। জাতীয় দলের মর্যাদাও ক্রমে বিপন্ন! সোনিয়ার এই টানা ২৪ বছর দলের সভানেত্রী থাকার মাঝে অবশ্য ২০১৭ থেকে ২০১৯, দু’বছর পুত্র রাহুল গান্ধী দায়িত্ব সামলেছেন। যথাসময়েই পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দলের ব্যাটন তুলে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি। গান্ধী পরিবারের গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার উচ্চকিত প্রচারে তা খুব একটা কষ্টকল্পিত ছিল না। বরং সেটা আজও সমানভাবে স্বাভাবিক ও বাস্তব। কিন্তু সামনে থেকেও বারবার কোথায় যেন নিজেকে লুকিয়ে ফেলছেন রাহুল। ঠিক আন্দোলনের সামনে এসে বুক ঠুকে ‘আমিই নেতা’ বলে রুখে দাঁড়ানোর কঠিন মানসিকতার বদলে যুদ্ধের ক্লাইম্যাক্সে তিনি বারবার নিখোঁজ হয়ে যান। উৎসাহ, উদ্যোগ, সামনে থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাটা অর্জন করতে হয়। সঙ্গে চাই দিনরাত পরিশ্রম করার অসম্ভব খিদে। এই সহজাত গুণগুলি উত্তরাধিকার সূত্রে মেলে না। তাই ২০১৯ সালে অনেক সম্ভাবনা জাগিয়েও সাধারণ নির্বাচনে ভরাডুবির পর রণেভঙ্গ দেন রাজীব পুত্র। অগত্যা অসুস্থ সোনিয়াকেই অস্থায়ী সভানেত্রীর দায়িত্ব দেয় এআইসিসির ‘সাজানো’ নেতারা। সেই ‘স্টপগ্যাপ অ্যারেঞ্জমেন্ট’ এখনও চলছে। ২৩ জন তথাকথিত শিক্ষিত নেতার বিদ্রোহ নিয়ে বাইরে যতটা ঝড় উঠেছে, ভিতরে ততটা কাঁপন কিন্তু ধরেনি। আর ধরেনি বলেই আজও নিমরাজি রাহুলকে বোঝাতে একটার পর একটা প্রদেশ নেতৃত্ব প্রস্তাব নিচ্ছে। সমর্থন জানাচ্ছে। কিন্তু কতদিন এভাবে অপেশাদার সুলভ শখের রাজনীতি চলতে পারে? বিশেষত গেরুয়া আগ্রাসনে দলের ভিত্তি ও ভোটব্যাঙ্ক দুই-ই যখন প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে। টাকা, ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক কৌশলের খেলায় প্রতিপক্ষ কিন্তু অনেক বেশি সংগঠিত ও পরিশ্রমী!
কংগ্রেসের সঙ্কট বাড়ছে ঠিক আরও একটি কারণে। রাহুল সভাপতি না থাকলেও কি দলের একটাও সিদ্ধান্ত তাঁকে বাদ দিয়ে আজ নেওয়া সম্ভব? একেবারেই  নয়। আগামী ১৭ অক্টোবর শেষপর্যন্ত যদি ভোট হয় এবং গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ নেতৃত্বে বসেন, তাহলেও অবস্থার লেশমাত্র পরিবর্তন হবে বলে হয় না। এটা আশীর্বাদ না অভিশাপ, তা ইতিহাস বলবে। তবে পরিবারের বাইরের কেউ দলের নেতৃত্বে এলেও তিনি যে দশ জনপথ কিংবা রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে অস্বীকার করে একচুল এগতে পারবেন না, তার সত্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। 
তবু সব জেনেবুঝেও আবার একটা প্রহসনের দিকে এগচ্ছে দলটা। কেন? নরেন্দ্র মোদি বারবার পরিবারতন্ত্র তুলে গাল দিচ্ছেন বলে? নাকি সামনে আরও বড় ভরাডুবি অপেক্ষা করছে, তাই রাহুল কিংবা প্রিয়াঙ্কা আপাতত আর কলঙ্কের ভাগী হতে আগ্রহী নন। ঘটনা যাই ঘটুক, আসন্ন আলোর পার্বণে যে নতুন ‘গণতান্ত্রিক’ কংগ্রেসের জন্ম হবে, তার সামনে এটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। সবাই নিশ্চিত জানে রাহুল ও সোনিয়ার অঙ্গুলিহেলন ছাড়া কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত বা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষমতা নয়া সভাপতির থাকবে না। তাহলে এই লোক হাসানো ‘নৌটঙ্কি’র প্রয়োজন কেন? অশোক গেহলট যদি সভাপতি হন, তাহলে তিনি কি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজের পছন্দের লোককে বসাতে পারবেন? দেখে শুনে মনে হচ্ছে, শচীন পাইলটকে পাকা কথা দেওয়া হয়ে গিয়েছে গান্ধী পরিবারের। কৌশলে রাজস্থান থেকে গেহলটকে সরানোই তাই কৌশল। এইসব হাজারো সংশয় আর প্রশ্নেই আবর্তিত হচ্ছে কংগ্রেস রাজনীতি। আর এই আবর্তেই অক্সিজেনের অভাবে মৃতপ্রায় হবে বিরোধী পরিসর। কে না জানে, উজ্জীবিত কংগ্রেস ছাড়া এই মুহূর্তে মোদিকে গদিচ্যুত করা প্রায় অসম্ভব কাজ। আবার এও সত্যি, সেই সুযোগ সামনে এলে নির্বাচিত সভাপতিকে তুড়ি মেরে সরিয়ে অধিকার বুঝে নিতে এক মুহূর্তও দেরি করবেন না রাহুল- প্রিয়াঙ্কা।
সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা এইখানেই। এই দফায় দলীয় গণতন্ত্রের টানাপোড়েনে বলি হবেন কংগ্রেসের 
কোন একনিষ্ঠ সেবক? অশোক গেহলট কি কংগ্রেসের পরবর্তী সীতারাম কেশরী হতে চলেছেন। যদি রাহুল না হয়ে গেহলট, থারুর কিংবা কমলনাথের মতো কেউ সভাপতির আসনে বসেন, তাহলে কি দলের ভিতরকার আকচাআকচি থামবে? গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ কংগ্রেস নেতৃত্বের দিশাহারা চেহারাটাই যদি প্রকট হয়, তাহলে বিরোধীদের সঙ্কট বাড়বে বই কমবে না। সেক্ষেত্রে আরও দুটো আঞ্চলিক দল মাথা তুলবে। ভারতীয় রাজনীতি আজ গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে। সামনের দু’বছরও যদি এভাবে ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’ চলতে থাকে, তাহলে শুধু শতাব্দী প্রাচীন দলটাই লাটে উঠবে না, বিরোধী মুছে দেশটা নরেন্দ্র মোদি ও সঙ্ঘ পরিবারের গোলামে পরিণত হবে। এক ঐতিহাসিক সঙ্কটের মুখোমুখি হবে দেশের ভূগোল-ইতিহাস। আমূল বদলে যাবে জনভিত্তির মানচিত্র।
হিউমের হাতে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা ১৮৮৫’র ২৮ ডিসেম্বর। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কোনও এক রহস্যজনক কারণে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী গোটা দলটাকে জওহরলাল নেহরুর হাতে বেঁধে দিয়েছিলেন। এমন নয় যে আর কোনও যোগ্য নেতা তখন ছিল না। কিন্তু মহাত্মার স্নেহ ও সমর্থন পেয়ে নেহরুর হাতেই দলের রাশ চলে যায়। সেই থেকে স্বাধীনতা উত্তর ৭৫ বছরের ইতিহাসে কংগ্রেস নেহরু-গান্ধী পরিবারের  সম্পত্তিতে পরিণত। এই ৭৫ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় কংগ্রেস দেশটাকে শাসন করেছে। কিন্তু গত আটবছরে গেরুয়া শক্তি অনেকটা সঙ্ঘবদ্ধ। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের শূন্যস্থান পূরণের খেলায় মেতেছে আঞ্চলিক দলগুলি। নরেন্দ্র মোদির আক্রমণের মুখে পড়ে এবং দলের জনভিত্তি কমতে থাকায় আজ মেকি গণতন্ত্রের নাটক করলেও কংগ্রেস দলটার জিন কিন্তু একই থাকবে। অশোক গেহলট, শশী থারুর, কমলনাথদের মধ্যে যে-ই ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হোন না কেন, তাদের মেয়াদ গান্ধী পরিবারের খেয়ালের উপর নির্ভরশীল। যেদিনই রাহুল গান্ধীর মন হবে, দেশের সবক’টি প্রদেশ কংগ্রেস একযোগে প্রস্তাব পাশ করে অশোক গেহলটদের গলাধাক্কা দেবে। এখন দেখার ১৯৯৮ সালে রিলিজ করা ‘সীতারাম কেশরী’ নামক ট্র্যাজিক নাটকের রিমেক ছবিটা কবে রিলিজ করে! কারণ সেটাও ছবির পরিচালক ও প্রযোজক সংস্থা গান্ধী পরিবারের উপরই ষোলোআনা নির্ভরশীল। প্রায় ১৩৭ বছরের দলটার এটাই শক্তি ও একইসঙ্গে সীমাবদ্ধতাও! এই সীমাবদ্ধতা যত চওড়া হবে, ততই মোদি, অমিত শাহের খামখেয়ালিপনাও বাড়বে। দাউদ আসবে না, পরিবর্তে আসবে নামিবিয়ার চিতা। মধ্যপ্রদেশের জাতীয় উদ্যানে ছাড়া চিতাও ছত্রভঙ্গ বিরোধীদের দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়বে। দুয়ো দেবে। বিপন্ন হবে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান।
বিজেপির গিমিক পলিটিক্স
বনাম ‘লালগুণ্ডা’
তন্ময় মল্লিক

শত্রুর শত্রু, আমার বন্ধু। এই নীতিতেই বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে গড়ে উঠেছিল পারস্পরিক বোঝাপড়া। এক সুরে বাঁধা ছিল মমতা বিরোধী লড়াই। বিজেপিকে দিয়েই সিপিএম তাদের ‘পথের কাঁটা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চেয়েছিল। তাই শুরু হয়েছিল গোপন ক্যাম্পেন, ‘একুশে রাম ছাব্বিশে বাম’। তার পরিণতি? বিজেপি ৭৭, সিপিএম জিরো।
বিশদ

24th  September, 2022
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সিলেবাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কিন্তু একদিনের জন্যও নিজের অস্তিত্ব ও উপস্থিতি জনগণকে ভুলতে দিতে চান না। তাই নিয়ম হল, প্রতিদিনই কোনও না কোনও অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন,  উদ্বোধন করছেন, এমনকী রাজ্যের ক্ষুদ্র প্রকল্পেরও সূচনা করছেন তিনি। ফলে ভারতবাসী রোজ তাঁর কথা শুনছে। অতীতের প্রধানমন্ত্রীরা ভাবতেন, কাজের মাধ্যমেই ইতিহাসে স্থান হয়। মোদি ভাবেন, কাজ করছি এই প্রচারটি এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে জনমনে বিভ্রম তৈরি হয় যে, হ্যাঁ, তাহলে বোধহয় সত্যিই কাজ হচ্ছে। ওই বিভ্রমই হবে ইতিহাস।
বিশদ

23rd  September, 2022
জ্ঞানবাপী মামলা, উত্তেজনার চোরাস্রোত
মৃণালকান্তি দাস

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার নাকি উত্তেজনার চোরাস্রোতে ভাসছেন! ইতিউতি যা মন্তব্য করছেন তাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে সেই উত্তেজনা। 
বিশদ

22nd  September, 2022
চিতা নিয়ে নৌটঙ্কি বনাম আত্মহত্যার পাঁচালি
সন্দীপন বিশ্বাস

এরাজ্যে শুরু থেকেই বিজেপির অস্তিত্ব অনেকটা নেতিয়ে যাওয়া বাসি কচুরির মতো। মোদি-শাহরা মাঝেমাঝে এসে কিছুটা গরম করে দিয়ে যান বটে, কিন্তু আবার তাঁরা দিল্লি ফিরে গেলেই এখানকার নেতৃত্ব নেতিয়ে পড়ে।
বিশদ

21st  September, 2022
মহাত্মা হওয়ার লড়াই!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কর্তৃত্বের সঙ্কট? নাকি অস্তিত্বের? ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ১২ দিন পরও এই প্রশ্নটার উত্তর কিছুতেই মিলছে না। রাহুল গান্ধী হাঁটছেন। আমরাও দেখছি, শুনছি এবং বোঝার চেষ্টা করছি।
বিশদ

20th  September, 2022
আজাদি, স্বায়ত্তশাসন ও গুলাম নবি আজাদ
পি চিদম্বরম

কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭ সাল থেকে দুটি বিরুদ্ধ ধারণা রয়েছে। সময়ে সময়ে ধারণাগুলির রূপান্তরিত হয়েছে নানাভাবে। এই ঘটনার প্রভাবে এটাই মনে হয় যে কাশ্মীর সম্পর্কে ধারণা রয়েছে দুটির বেশিই।
বিশদ

19th  September, 2022
প্রধানমন্ত্রীই দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাণ্ডারী  
নীতিন গাদকারি

একটি স্বনির্ভর জাতি গঠনের জন্য, নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সাল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। তাঁর ভারতে সমাজের সমস্ত অংশের মানুষ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। 
বিশদ

18th  September, 2022
দেবীপক্ষের আগেই মোদিপক্ষ!
হিমাংশু সিংহ

একই সপ্তাহে বঙ্গজীবনে পরপর দুটো চমক। প্রথমটা, ৬১ বছর পর উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেনের সাড়া জাগানো ছবি সপ্তপদীর রোমহর্ষক ‘রিমেক’ এবং নাটকীয়ভাবে রাজপথে পুলিসি ঘেরাটোপে পুরুষ রিনা ব্রাউনের সন্ধান! আন্দোলনের ময়দানে দাঁড়িয়ে ‘জেন্ডার নিউট্রাল’ পুলিসের কাছে দলবদলু এক নেতার করুণ আর্তি ‘আমাকে ছুঁয়ে দিও না’।
বিশদ

18th  September, 2022
বাঘ ও বাঘের মাসির
ফারাক দেখল বাংলা
তন্ময় মল্লিক

বঙ্গ বিজেপি বুঝিয়ে দিল, রাজ্যে দ্বিতীয় হওয়ার লড়াইয়ে সিপিএমকে তারা এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়তে নারাজ। তাদের বিশ্বাস, জঙ্গি আন্দোলন করলেই ফিরবে নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের আস্থা। তাই সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে গুণ্ডামির প্রতিযোগিতা। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে দুই দলের মধ্যে ‘সুপার লিগে’ টিকে থাকার লড়াই ততই হবে তীব্র।
বিশদ

17th  September, 2022
সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি, সর্বোচ্চ
বেকারত্ব, ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার ২০২২ সালকে প্রচার করছে অমৃতকাল আখ্যা দিয়ে। এই যদি অমৃত হয়, গরল কাল কাকে বলে? কারণ, সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি, সর্বোচ্চ বেকারত্ব এবং জীবিকা থাকা সত্ত্বেও আয় কমতে থাকা, এই তিন প্রবণতা আমাদের আড়ালে এক সম্পূর্ণ বৈষম্যের আগ্নেয়গিরির জন্ম দিচ্ছে। প্রবল এক রাগ জমে উঠছে সমাজে। যার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যাবে আমরা জানি না। বিশদ

16th  September, 2022
কোহিনুর ফেরত চাওয়া কি অন্যায়?
মৃণালকান্তি দাস

দিল্লি শহরকে কচুকাটা করে পারস্যে ফিরে গিয়েছিলেন নাদির শাহ! ১৭৩৯ সালের প্রখর গ্রীষ্মে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মুঘল সাম্রাজের যাবতীয় ধনরত্ন। ৭০০ হাতি, ৪ হাজার উট ও ১২ হাজার ঘোড়ার পিঠে বোঝাই করে। সোনাদানা, মণিমুক্তো ছাড়াও লুট করা ওই ধনরত্নের মধ্যে থেকে ছিল শাহজাহানের ময়ূর সিংহাসনও।
বিশদ

15th  September, 2022
ম্যাজিক ফিগার কোনও
জাদুতে ছোঁয়া যাবে না
হারাধন চৌধুরী

এমন কৌশল জ্যোতি বসুর আমল থেকে এপর্যন্ত অনেকবারই হয়েছে। কিন্তু আজও কেন তা উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মুখ দেখেনি? অবিজেপি দলগুলিকে দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। উদ্যোগী হতে হবে সেইমতোই। একমাত্র সমাধান—স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সংবিধান মিলিয়ে—জনস্বার্থকে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া। হাত তুলে জানাক কারা রাজি, তবেই বোঝা যাবে মহাজোটের আকাঙ্ক্ষা আদৌ কতটা আন্তরিক। বিশদ

14th  September, 2022
একনজরে
ফের খবরের শিরোনামে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে এক মহিলাকে হঠাৎ চিনতে পারেন তিনি। বলেন মহিলার যখন মাত্র ১২ বছর বয়স তখন থেকে তাঁকে চিনতেন। বাইডেনের এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ...

স্থানীয় লিগে খেলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা করছিল এটিকে মোহন বাগান। ক্লাব সচিবের চাহিদা মতো বকেয়া পেমেন্টের একটি অংশও মিটিয়েছিল আইএফএ। ...

দুর্গাপুজোয় নয়, পুজোর পাঁচদিন মনসা পুজোয় মেতে ওঠেন বালুরঘাট ব্লকের ফুলঘরা গ্রামের বাসিন্দারা। দুর্গাপুজোর রীতিনীতি মেনে মনসা দেবীর আরাধনা করা হয়। ৩৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এই পুজো করে আসছেন গ্রামবাসীরা। ...

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুধুই সম্ভাব্য বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ভরসায় থাকা নয়। বরং একক শক্তিতে তারা যে পিছিয়ে নেই, জাতীয়স্তরে সেই বার্তা দিতেই আপাতত মরিয়া সিপিএম তথা বামদলগুলি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৫২৪ - বিশিষ্ট নৌ-অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামা পর্তুগালের ভাইসরয় হিসেবে তৃতীয় ও শেষবারের মতো ভারতে আসেন
১৬৩৯ - আমেরিকায় প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয়
১৮৯৭ - প্রথম ব্রিটিশ বাস সার্ভিস চালু হয়
১৯৩৩ - রঙ্গমঞ্চ ও চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট অভিনেতা  সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম 
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসুর জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৬৯: দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার  হানসি ক্রনিয়ের জন্ম
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু
২০২০ - সঙ্গীতশিল্পী  এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যমের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.০৮ টাকা ৮১.৮২ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৪১ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৮.১২ টাকা ৮১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
24th  September, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৬,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৬,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। অমাবস্যা ৫৪/৪৭ রাত্রি ৩/২৫। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/২৯/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/২৭/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৫৩ গতে ৪/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
৮ আশ্বিন, ১৪২৯, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। অমাবস্যা রাত্রি ৩/২৫। পূর্ব্বফাল্গুনী নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/৪। সূর্যোাদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ গতে ৮/৪১ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৮ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ১/২৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৩৬ গতে ৪/২২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/২৯ মধ্যে।
২৮ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি-২০: অষ্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত

10:41:19 PM

তৃতীয় টি-২০: ভারত- ৯১/২ (১০ ওভার) টার্গেট- ১৮৭

09:45:00 PM

তৃতীয় টি-২০: ভারতকে ১৮৭ রানের টার্গেট দিল অষ্ট্রেলিয়া 

08:50:00 PM

তৃতীয় টি২০: অস্ট্রেলিয়া ৮৬/৪ (১০ ওভার)

07:56:34 PM

তৃতীয় টি২০: টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ভারতের অধিনায়কের

06:33:00 PM

দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:20:00 PM