যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ
এবার পুজোয় পদ্মফুলের বাম্পার ফলনের কারণটা কী? পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের নহলাগ্রামের পদ্মচাষি মোহন মাইতি জানান, হেমন্তের শিশির পড়লেই পদ্মফুল নষ্ট হয়, তাতে ফুলচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু এবার পুজো কিছুটা আগে পড়েছে। ফলে শিশির না পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না পদ্মচাষ। তার উপর প্রচুর পরিমাণে ফুলের উৎপাদন হওয়ায় সকলেই উপকৃত হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ফুলচাষিদের এবার বাড়তি খরচ করে উৎপাদিত ফুল হিমঘরে মজুত রাখতে হচ্ছে না।
ফুলবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে বীরভূম, বর্ধমানের জলাশয়ে পদ্মের চাষ হয়ে থাকে। পাশাপাশি হাওড়া ও দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন নয়ানজুলি ও রেললাইনের পাশে জলাশয়গুলিতে পদ্মের চাষ হয়। এরসঙ্গে মেদিনীপুরের ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ক্যানেলেও হয়ে থাকে পদ্মচাষ। এবার প্রতিটি জায়গাতেই ভালো চাষ হয়েছে পদ্মের।
কথা হচ্ছিল কলকাতার জগন্নাথঘাট ফুলবাজারের ফুল ব্যবসায়ী তপন মালাকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, উৎপাদন কম হলেই পদ্মের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। গত বছরেই পুজোর সময় প্রতি পিস পদ্মের দাম ছিল ১৫‑২০ টাকা। খুচরো বাজারে তা কোথাও ২৫ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। আর এক ফুলচাষি অসীম পানের কথায়, এবার পদ্মের উৎপাদন বেশি হওয়ায় আর সেই সমস্যা থাকছে না। দামও থাকবে আয়ত্তের মধ্যে।