যে কোনও ব্যবসায় শুভ উন্নতি আর লাভ বৃদ্ধি। কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কর্মস্থলে জটিলতা মুক্তি। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের অধীনে ডি পি এম ইউ হাওড়া অফিসের উদ্যোগে আদমি প্রকল্পের মাধ্যমে বাগনান ১ এবং ২ নং ব্লকে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে পদ্মফুল চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাগনান ১ নং ব্লকের দুর্লভপুরের ১১০ চাষীকে নিয়ে দুটি জল ব্যবহারকারী সমিতির যৌথ উদ্যোগে ১০০ বিঘা জমিতে এই পদ্মচাষ হচ্ছে। জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সার্ভেয়ার মৌসুমী জানা জানান, ‘মূলত এই চাষে জৈব পদ্ধতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রথমে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারপর রির্পোট অনুযায়ী, মাটি শোধন করে তাতে জৈব সার যেমন খামার জাত সার, কেঁচো সার, জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় এবং মাটিতে অনুখাদ্য মেশানো হয়। এরপর পদ্মের চারা জৈব কীটনাশক দিয়ে শোধন করে জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে লাগানো হয়। এর পাশাপাশি আই পি এম পদ্ধতিতে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’ মৌসুমীদেবীর কথা থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমান পদ্ধতিতে পদ্ম চাষে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন। পদ্মচাষ করে খুশি চাষীরাও। দুলর্ভপুরের বাসিন্দা অসিত পোড়ে নিজের তিন বিঘা জমিতে পদ্ম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগে জমিতে ধান চাষ করতাম। এখন পদ্মচাষ করে বেশি লাভ হচ্ছে।’ তিনি জানান, বর্ষার আগে জমির মাটি তৈরি করার পরে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলে পদ্মফুলের চারা বসানো হয়। সাধারনত দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু হয়। শীতকালে ফুল ফোটা কমতে শুরু করে। বর্তমানে পদ্মফুলের দাম পিস ৪ থেকে ৫ টাকা। দুর্গাপুজোর সময় দাম ওঠে পিস প্রতি ২০ টাকা। লাভ বেশি হওয়ায় মানুষ জমিতে পদ্ম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।