নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বর্ষীয়ান চিত্রগ্রাহক নিমাই ঘোষ প্রয়াত। বুধবার সকাল সাতটা দশ মিনিটে কলীঘাটের নিজ বাসভবনে শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। পরিবার সূত্রে খবর তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
পবিত্র ত্রিবেদী, কলকাতা: কারও ১০০টি গোরু, কারও ২০০। কারও আবার দু’হাজার। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৩ এবং ১৪ এই দুটি ওয়ার্ডে অনেকগুলি পরিবার গোপালন ও দুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে তারা দেখেন, সেই এলাকায় ড্রেন ভেসে যাচ্ছে খাঁটি গোরুর দুধে। কারণ বিক্রি নেই। মিষ্টির দোকানও যে বন্ধ। দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় অন্তত ১০০টি পরিবার দুধ বিক্রি করতে পারছে না। মধুগড়, ঘোষপাড়া এবং খালপাড় সংলগ্ন এলাকার খাটালে হাজার হাজার গোরু রয়েছে। দেশজুড়ে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে গোরুর খাবারের দাম বেড়েছে লাফিয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীররা বলছেন, একদিকে দুধ বিক্রি হচ্ছে না, অন্যদিকে গরু পোষার খরচ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সেই পরিবারগুলো। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য শুধু নয়, হাসপাতালেও রোগীদের দুধ দরকার হয়। ফলে এটা যদি কোনওভাবে সেন্ট্রাল ডেয়ারি কিনে নেওয়ার ব্যবস্থা করে, তাহলে তাঁরা উপকৃত হবেন। প্রয়োজনে এখন তাঁরা কম দামে দিতেও রাজি। স্থানীয় দুধ বিক্রেতা কালু ঘোষ জানান, ওই পাড়ায় সকালে ৪ হাজার লিটার এবং বিকালে সেই পরিমাণই দুধ দোয়ানো হয়। স্থানীয়রা ১০০ লিটার পর্যন্ত দুধ নিজেদের জন্য কিনে নিচ্ছেন। কিন্তু বাকি দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও স্থানীয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর পাল জানান, তাঁরা খুব অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে যদি দুধ কিনে নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে সেটা খুব ভালো হবে। পরিস্থিতি দেখতে আজ আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তাছাড়া এলাকায় অনেক রিকশ, অটোচালক রয়েছেন, সব বন্ধ থাকায় তাঁরা অসুবিধার মধ্যে আছেন। তাঁদের পরিবারকে এদিন চাল-ডাল দেওয়া হয়েছে।
