কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সাত্যকি মণ্ডল বলেন, খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ফাঁসিদেওয়ার ব্লকের ভামনাগছ, বুমগছ গ্রাম পঞ্চায়েতে অশ্বগন্ধার চাষ হচ্ছে। আগ্রহীরা জমিতে কিংবা চাষবাস সংক্রান্ত বিষয় জানতে চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স ও তরাই অঞ্চলের আবহাওয়া অশ্বগন্ধা চাষের পক্ষে উপযোগী। ব্যবসায়িকভাবে চাষের পক্ষে আদর্শ।
ভালো ফলন পেতে হলে চারা রোপণের আগে সেপ্টেম্বর থেকে জমি তৈরি করতে হবে। তৈরি জমিতে বিঘা প্রতি ৪ টনের মতো গোবর সার ও জৈবসার মাটিতে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। অথবা প্রতি গর্তে ৫০০ গ্রামের মতো সারের মিশ্রণ দিয়ে গাছ রোপণ করতে হবে। গাছ রোপণের পর ভালো করে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া সরাসরি বিঘা প্রতি ১ কিলোগ্রাম বীজ ছিটিয়ে চাষ করা যেতে পারে। তবে এই পদ্ধতিতে জমির আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। উঁচু কিংবা ডাঙাজমিতে চাষ হলে সেখানে নিকাশির ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে আলো বাতাসযুক্ত বেলে বা দোঁয়াশ মাটিতে অশ্বগন্ধার উৎপাদন ভালো হয়।
জমিতে অম্লত্ব ৬.৫ থেকে ৭.৫ হলে অশ্বগন্ধা ভালো জন্মায়। তবে মাটিতে অম্লত্বর পরিমাণ ৬.৫-এর কম হলে বিঘা প্রতি ১২৫ কেজি চুন বা ডলোমাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। উষ্ণ ও শুকনো আবহাওয়া অশ্বগন্ধা চাষের পক্ষে আদর্শ। জমিতে বীজতলা থেকে চারা তুলে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৩০ সেমি ও সারি থেকে সারির দূরত্ব ৪৫ সেমি রাখতে হবে। তবে জমিতে যাতে জল না জমে থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। চারা লাগানোর পরে গাছের উচ্চতা ২ থেকে ৪ ইঞ্চি হলে প্রতি সপ্তাহে সেচ দিতে হবে। গাছের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেচের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
মাটিতে রসের প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিতে হবে। আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। রোগপোকা দমনেও কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না। নিমতেল বা সেই ধরনের জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। অশ্বগন্ধা ভেষজ জাতীয় উদ্ভিদ হওয়ায় এই চাষের ক্ষেত্রে কোনও ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে না। গাছের মধ্যে রাসায়নিক সারও ব্যবহার করা যাবে না। তবে জৈবসার, কেঁচোসার বা সবুজসার ব্যবহার করা যেতে পারে।