অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কথা হচ্ছিল জগন্নাথ ঘাটের ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। বাগনানের ফুলচাষি অতুল সামন্ত ও তারাপদ নস্কর বলেন, মূলত এ রাজ্যে বীরভূম ও বর্ধমানে বড় বড় জলাশয়ে পদ্মের চাষ হয়। এছাড়াও হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন নয়ানজুলি ও জাতীয় সড়কের ধারে খালগুলিতে পদ্ম চাষ করেন অনেক ফুলচাষি। তাঁদের কথায়, বৈশাখ থেকে ভাদ্র— এই সময়কালেই মূলত পদ্মের চাষ হয়। আশ্বিনের পর শিশির পড়তে শুরু করলেই পদ্ম শেষ। সেই সময় ফলন খুব কমই হয়। আমতার ফুলচাষি শৈলেন কাপাস বলেন, করোনার জেরে এবার পদ্মের মরশুম মাঠে মারা গিয়েছে। কারণ ওই সময়ে পদ্ম চাষের জন্য যে পরিচর্যা দরকার, তা করা যায়নি। তাছাড়া লকডাউনের কারণে ওই সময় সব বাজারই ছিল বন্ধ। বিক্রি হবে কোথায়? তাই ফুলচাষিরাও এ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাননি। পদ্ম চাষে দেখভাল ও পরিচর্যার জন্য লোকের দরকার। কিন্তু লকডাউনে আয় নেই, তার উপর বাড়তি টাকা দিয়ে লোক রাখার সাহসও দেখাননি চাষিরা। তখন যেটুকু পদ্ম উৎপাদন হয়েছিল, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। স্বভাবতই তার জের এসে পড়বে দুর্গাপুজোয়। সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, করোনার জেরে এবার পদ্ম চাষ কম হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় এর দাম চড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা যেটুকু পদ্ম জোগাড় করতে পেরেছেন, তা হিমঘরে মজুত করতে শুরু করেছেন।