অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
বলেন, এই রপ্তানি ইউরোপে হলে আয় আরও বাড়ত। সেই চেষ্টাই চলছে।
কয়েক বছর আগেও এখানকার পানের আমদানির উপর ইউরোপে কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। কিন্তু সালমোনেলা কাণ্ডের পর ইউরোপের দেশগুলি পান আমদানির উপর নিষোধাজ্ঞা জারি করেছে। ওই ব্যাকটিরিয়া থেকে মূলত পেটের অসুখ হয়। এপিডার কর্তা জানান, ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ফের পান রপ্তানি শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পানের পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্য উদ্যানপালন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সালমোনেলা-মুক্ত পান চাষের চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পান চাষ করলে এবং বরোজ থেকে পান ওঠানোর পর তাতে জীবাণুনাশক দিলে ব্যাকটিরিয়া-মুক্ত করা সম্ভব। তবে এই ব্যাপারে চাষিদের আরও সচেতন করতে হবে। কারণ, এখনও ইউরোপ থেকে পান ফেরত আসছে। পান চাষিদের আরও সচেতন করতে তাদের নথিভুক্তকরণের ব্যবস্থা করেছে এপিডা।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউরোপের দেশগুলিতে সব্জির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ, কাঁচালঙ্কা ও উচ্ছের চাহিদা আছে। এই সব্জিগুলি রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। কিন্তু ইউরোপে রাসায়নিক ও কীটপতঙ্গ-মুক্ত ওইসব সব্জি পাঠানোর ব্যাপারে ব্যাপক কড়াকড়ি আছে। এই কারণে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওই সব্জিগুলি পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষ করা ওইসব সব্জি ইউরোপে রপ্তানি হয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বিভিন্ন সব্জি রপ্তানি হয়। ওই দেশগুলিতে ইউরোপের মতো কড়াকড়ি নেই। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখানকার কিছু ট্র্যাডিশনাল সব্জি অবশ্য ইউরোপে যাচ্ছে। এর মধ্যে মোচা, কাঁচাকলা, শিম, কচুর লতি প্রভৃতি আছে। ওই সব্জিগুলির গুণগত মানের উপর কড়াকড়ি এখনও ইউরোপীয় দেশগুলি আরোপ করেনি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদেশে ফল রপ্তানি বিশেষ হয় না। পশ্চিমবঙ্গের আমের চাহিদা বিদেশে সেরকম দেখা যাচ্ছে না বলে এপিডা কর্তা জানিয়েছেন। বরং অন্য কয়েকটি রাজ্য থেকে আম বিদেশে রপ্তানি হয়। ভারতীয় কৃষিপণ্যের মধ্যে আমেরিকা একমাত্র আম নেয়।