বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
খরচের বোঝা কমাতে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু করেছিল বিএসএনএল। দেশজুড়ে যে সংখ্যক কর্মী ও অফিসার সেই প্রকল্প গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯৩ হাজার জন অবসর নিয়েছেন। কর্মী ও অফিসারদের একটা বড় অংশ স্বেচ্ছাবসর নেওয়ায় আর্থিক ভার কিছুটা লাঘব হওয়ার কথা বিএসএনএলের। এবার আর্থিক পরিস্থিতি উন্নতির পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধির পথে এগতে চাইছে তারা। সেই কারণে অনেক কাজই আউটসোর্স করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া এবং তা মেরামত করার কাজটি এতদিন ভেন্ডরদের দিয়েই করানো হতো। কিন্তু তাতে সাহায্য করতেন বিএসএনএল-এর কর্মীরা। সেক্ষেত্রে কাজের দায়িত্ব বাইরের সংস্থাকে, বলা ভালো ঠিকা কর্মীদের দেওয়া হলেও, তা শেষ করার জন্য কোনও সময়সীমা ছিল না। কাজ না হলে বা ধীরগতিতে কাজ হলেও তার জন্য আর্থিক জরিমানার কোনও ব্যবস্থা ছিল না এতদিন। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বিএসএনএলের কলকাতা সার্কেল। এখানকার চিফ জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ পাল বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে পেশাদারিত্বের দিকে এগচ্ছি। যে সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হবে, তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে, কোন কাজ কতদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। তারা যদি সেই কাজ সময়ে শেষ করতে না পারে, তাহলে তাদের গুনতে হবে পেনাল্টি। সেই মর্মেই তাদের সঙ্গে চুক্তি হবে। এই নিয়ম এতদিন ছিল না। বিএসএনএল সব দিক থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরাও গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেহেতু ব্রডব্যান্ড এবং ল্যান্ডলাইন গ্রাহক সংখ্যার নিরিখে আমরা অনেকটা এগিয়ে, তাই তাঁরা যাতে সর্বোত্তম পরিষেবা পান, আমরা তার জন্য পদক্ষেপ করছি।
গ্রাহকের বাড়ি ল্যান্ডলাইন এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছয় দু’টি ধাপে। একটি হল এক্সচেঞ্জ থেকে ক্যাবিনেট। পরবর্তী ধাপে তা ক্যাবিনেট থেকে যায় বাড়িতে। মূলত দ্বিতীয় ধাপটির জন্য আউটসোর্স হবে। প্রথম ধাপের কাজের জন্য অবশ্য নিযুক্ত থাকবেন বিএসএনএল কর্মীরাই। ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকে সংস্থা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বহু গ্রাহক আছেন, যাঁদের ল্যান্ডলাইন বা ব্রডব্যান্ড সংযোগ খারাপ হয়ে গেলে, তা সারাই হয় না। কখনও তা বিএসএনএলের গাফিলতিতে হয়, কখনও হয় অন্য কোনও সংস্থা কেবল লাইন তছনছ করলে। দ্বিতীয় কারণটিতে তবু অজুহাত চলতে পারে। কিন্তু প্রথম কারণটি নিয়ে রীতিমতো জর্জরিত থাকেন বহু গ্রাহক। নয়া ব্যবস্থায় লাইন দীর্ঘদিন খারাপ থাকার রোগ সারবে বলেই আশা করছে বিএসএনএল। গ্রাহকরা অবশ্য দেখতে চান, বিষয়টি শুধু কথার কথাই রয়ে গেল, নাকি সত্যিই গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএসএনএল।