বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মহারাষ্ট্র সহ দেশের প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্য থেকে জোগানে ঘাটতি হওয়ার পর বিদেশ থেকে আমদানির উদ্যোগ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএমটিসি-র মাধ্যমে মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির বরাত দেয়। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা পেঁয়াজ বন্দরে পৌঁছনোর আগে দেশের বাজারে প্রচুর পরিমাণে চলে এসেছে তুর্কি পেঁয়াজ। আফগানিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আসছে বাজারে। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে আনা পেঁয়াজ পাকিস্তান সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢুকছে।
পোস্তা ও শিয়ালদহের পাইকারি বাজারে তুর্কি ও আফগানি পেঁয়াজ কিছুদিন ধরে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে তুর্কি পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শনিবারই প্রায় দুশো টন তুরস্কের পেঁয়াজ এসেছে এখানে। শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের আধিকারিক তথা রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, সেখানে তুর্কি পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে আসছে।
মহারাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বড় সাইজের পেঁয়াজের ৪০ কেজির বস্তা ৩৪০০-৩৫০০ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে তুর্কি পেঁয়াজের দাম ২৬০০ টাকার আশপাশে। কিন্তু তার সাইজ বড় হওয়ার কারণে বিক্রি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিয়ালদহ ও কোলে মার্কেট থেকে পেঁয়াজ কিনে তা সরকারি উদ্যোগে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কমলবাবু জানিয়েছেন, সাইজ বড় হওয়ার জন্য দাম কম হওয়া সত্ত্বেও সরকারের জন্য বিদেশি পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে না। কারণ ৫৯ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি করা হলেও চাহিদা হবে না, এমন আশঙ্কা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে আমদানি করা তুর্কি পেঁয়াজ কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে পৌঁছতে পারে। নাফেড ওই পেঁয়াজ সরবরাহ করবে রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তরকে। সপ্তাহে দুশো টন করে চার সপ্তাহের জন্য নাফেডের কাছ থেকে পেঁয়াজ অনেক আগেই চেয়েছে কৃষি বিপণন দপ্তর। কলকাতায় আসার পর এর দাম পড়বে কেজি প্রতি ৬২ টাকার আশপাশে। এই পেঁয়াজ সরকারি উদ্যোগে দিলে ভর্তুকি খাতে সরকারের খরচ কমবে। কিন্তু নাফেডের সরবরাহ করা তুর্কি পেঁয়াজ খুব বড় সাইজের হলে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় আছেন সরকারি আধিকারিকরাও।