প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
তবে, ওই আক্রান্ত বৃদ্ধের চিকিৎসা করা সত্ত্বেও জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক দীপঙ্কর প্রধানের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, শাবললাড়ার হাতুড়ে চিকিৎসককে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তমলুক থানার বল্লুকহাট এলাকায় ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের চেম্বার। ডাক পড়লে তিনি রোগীদের বাড়িতেও যান। গত ২৭ ও ২৮ মার্চ তিনি বল্লুক গ্রামের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের চিকিৎসা করেন। বৃদ্ধের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে তমলুক শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। হাতুড়ে চিকিৎসক নিজেই করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধকে ইঞ্জেকশন এবং স্যালাইন দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর আশপাশের গ্রামে যেসব রোগী দেখেছেন, তাঁদের কাউকে ইঞ্জেকশন, কাউকে স্যালাইন দিয়েছেন। এখন সেইসব রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা তীব্র আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সাড়ে সাত হাজার হাতুড়ে ডাক্তার আছেন। তমলুকের শাবললাড়া গ্রামের ওই কোয়াক ডাক্তার করোনা আক্রান্ত হতেই রাতারাতি অনেক হাতুড়ে পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছেন। মোবাইলও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাত-বিরেতে কোনও বিপদ হলে কোয়াকদের আর পাওয়া যাবে কি না, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তাঁদের পরিবারের লোকজনের ভিড়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলিও ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই মুহূর্তে ২৫ জন আইসোলেশনে আছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণত ব্লক প্রশাসন সারাবছর সরকারি কাজকর্মের জন্য যেসব গাড়ি রিক্যুইজিশন দেয়, সেইসব গাড়ির মালিক এখন গাড়ি দিতে রাজি হচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজনের নমুনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দাসপুরের এক যুবক এবং তাঁর বাবা ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে আক্রান্তের কোনও খবর নেই। মোট ১৫ জন আইসোলেশনে আছেন।