কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
দিল্লি গিয়ে যাঁদের এখনও অক্ষরধাম মন্দির দেখার সৌভাগ্য হয়নি, তাঁরা এবার গোপালপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপ দর্শন করলে সেই ইচ্ছে অনেকটাই পূরণ করতে পারবেন। এবার এই পুজোর ১৪তম বর্ষ। অক্ষরধামের আদলে প্রায় ৭৫ফুট উঁচু একটি সুদৃশ্য মণ্ডপ হচ্ছে। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত ভুঁইঞা এবং অলোক বেরা বলেন, আমাদের পুজো কমিটির সদস্য তপন রায় মণ্ডপ তৈরি করছেন। মন্দিরের পাশাপাশি জল অপচয় নিয়ে সচেতনতার বিষয়টিও পুজোর থিমে থাকছে।
রাইটার্স বিল্ডিংয়ের আদলে মণ্ডপ করছে চাঁইপাট স্কুলমাঠ সর্বজনীন পুজো কমিটি। কমিটির সম্পাদক দীপক রায় বলেন, রাইটার্স বিল্ডিংয়ের মতো রং ও ডিজাইন করা হচ্ছে। মণ্ডপের উচ্চতা ৪০ ফুট। ৭৪ বছরে পড়া এই পুজোয় কুমোরটুলির প্রতিমা থাকছে। থাকবে চোখ ধাঁধানো আলোর ব্যবস্থাও।
আলিবাবা চল্লিশ চোরের কাহিনী অবলম্বনে ‘চিচিং ফাঁক’ থিম করছে খানখানাচক সর্বজনীন পুজো কমিটি। ওই পুজো কমিটির কর্মকর্তা অমিত ঘোড়ই বলেন, থিমকে সামনে রেখে একটি বিশালাকার পাহাড় তৈরি করা হচ্ছে। পাহাড়ের গুহার মধ্যে প্রবেশ করেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে। প্রতিমা দর্শনের সময় দেখা মিলবে ঘোড়া, মণিমুক্তর বস্তা ও ডাকাত দলের। এসবই মাটির দিয়ে মডেল আকারে করা হচ্ছে। পুজো কমিটির বিশ্বাস, শিশু-কিশোরদের ওই মণ্ডপটি খুবই আকর্ষণ করবে।
সোনাখালি স্কুলপাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটি এবার প্রাকৃতিক জিনিসপত্র দিয়ে অভিনব মণ্ডপ করছে। ১৬ বছরে পড়া ওই পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শঙ্কর চক্রবর্তী এবং পবিত্র মণ্ডল বলেন, প্রকৃতিকে বাঁচানোর বার্তা নিয়ে ‘আমি নারী, আমি মা’, এই থিমের মণ্ডপ করা হচ্ছে। মণ্ডপের উপকরণ থাকবে গাছের ছাল, শিকড়, শুকনো পাতা। কুমারটুলির সাবেকি প্রতিমা এবং চিত্তাকর্ষক আলোও থাকছে।
সোনাখালি বাজার সর্বজনীন পুজো কমিটি তাদের ৫৯তম বছরে ‘সর্বধর্ম সমন্বয়’কে পুজোর থিম করছে। পুজো কমিটির কর্মকর্তা সুধাংশু চক্রবর্তী বলেন, ধর্ম যে যার নিজের, কিন্তু উৎসব সবার। সেই থিমকে মাথায় রেখে সুদৃশ্য মন্দিরের আদলে মণ্ডপের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিকৃতি থাকবে। মাটির গয়নার সাবেকি প্রতিমার পাশাপাশি থাকবে আকর্ষণীয় আলোর রোশনাই।
কৈগেড়্যা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি তাদের নবম বছরে বাঁশকাঠি দিয়ে মণ্ডপ করছে। পুজো কমিটির সম্পাদক নন্দলাল মাইতি বলেন, দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে প্রায় ৮০ ফুট উঁচু মণ্ডপ নির্মাণ করা হচ্ছে। শিশুদের আকর্ষণ করার মতো রং-বাহারী আলো থাকছে। এছাড়াও পুজোর ক’টা দিন নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।