কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কেশপুর এলাকায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। বিজেপির দাপটে বহু গ্রামে তৃণমূলীরা ঘরছাড়া রয়েছেন। একাধিক পার্টি অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে তৃণমূলের বন্ধ হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলি খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, এখনও এই ব্লকে বহু তৃণমূলকর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন।
গরগোজপোতা গ্রামে শেখ মোনোয়ার আলির বউমা আঙ্গুরা বিবি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। মোনোয়ার সাহেব এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি চাষবাস নিয়ে থাকতেন। তাঁর এক আত্মীয় শেখ হাবিবুল রহমান বলেন, আমি খবর পেয়ে ছুটে আসি। হাসপাতালে এসে জানতে পারি, উনি মারা গিয়েছেন। তিনি আমার বোনের শ্বশুর ছিলেন। এলাকায় তৃণমূল করতেন। যেটুকু জানতে পেরেছি, মাটি কাটা নিয়ে গ্রামে গণ্ডগোল হয়েছিল। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তবে, তাঁকে কেউ সেখানে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, নাকি তিনি গণ্ডগোলের খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন, তা আমাদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। ওই গণ্ডগোল চলার সময় কোনও বিষয় নিয়ে বচসা শুরু হয়। এরপরই তাঁকে মারধর করা হয়। তখনই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা সকলেই বিজেপি করে বলে জানতে পেরেছি।
তৃণমূলের কেশপুর ব্লকের সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, মোনোয়ার আলি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ওই পরিবারে তাঁর বউমা আমাদের দলের সদস্যা। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি কেশপুর জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। ওই গ্রামের ২২ জন কর্মী ঘরছাড়া। যদিও মোনোয়ারসাহেব গ্রামেই থাকতেন। বিজেপির এত শাসানির পরেও তিনি আমাদের দল ছেড়ে যাননি। আমি যেটুকু জানতে পেরেছি, এলাকায় একটি গণ্ডগোল হয়েছিল। তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওরা খুন করেছে। বিজেপি এলাকায় ফের সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, কেশপুরে বিজেপি নেতা আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। খালের মাটি কাটা নিয়ে দু’টি পরিবারের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। তার জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখন আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তৃণমূলের লোকজন আমাদের এক নেতার বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আসলে তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই পারিবারিক বিবাদকে ওরা রাজনৈতিক খুন বলে চালাতে চাইছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অবশ্য বলেন, কোনও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়নি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।