কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এবিষয়ে ফরাক্কার বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী বলেন, জলস্তর কমছে, বৃষ্টিও থেমেছে। ফলে জলমগ্ন এলাকা থেকে জল নেমে যাচ্ছে। তবে মানুষজন এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। ১২টি ত্রাণ শিবিরে মানুষদের সবরকম সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। রঘুনাথগঞ্জ-২ বিডিও বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। জল নামতে শুরু করেছে।
ফরাক্কার হোসেনপুর ও কুলিদিয়ারে গঙ্গা ভাঙনের ফলে ভিটেমাটি হারিয়েছে শ’খানেক পরিবার। ফলে তাদের হোসেনপুরে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়। কিন্তু, গত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টির ফলে গঙ্গার জল ছাপিয়ে ঢুকে পড়ে নিমতলা, বাঁকা, অর্জুনপুর, শিকারপুরে। ফলে ওইসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গঙ্গার জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে, ফরাক্কা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। এছাড়া জলবন্দি হওয়া মানুষদের ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের ত্রিপল, শুকনো খাবার এবং আহারের ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে গত সোমবার ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জল ছাড়ার ফলে পদ্মার জলস্তর বৃদ্ধি পায়। ফলে, সূতি, আহিরণ, রঘুনাথগঞ্জ-১, ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি অঞ্চল জলের তলায় চলে যায়। জল মানুষের ঘরে ঢুকে যায়। ফলে কয়েক হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েন। পুজোর বোধনের আগেই বিসর্জনের সুর বেজে ওঠে সেখানে। ফরাক্কার রাম দাস বলেন, পুজো এবার মাটি হয়ে গেল। বাড়িঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে চলে এসেছি।
চাঁদপুরের সুকু শেখ বলেন, এক সপ্তাহ থেকে জলবন্দি হয়ে আছি। জল কমছে বলে, মনটা একটু ভালো লাগছে। জানি না আর কতদিন এভাবে থাকতে হবে।