কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
উল্লেখ্য, পুজোর মুখে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি এবং ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে ভাগীরথী নদীর জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাগীরথী নদীর জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সোমবার রাত থেকে জিয়াগঞ্জ শহরের তিনটি ফেরিঘাটের বাঁশের মাচা জলের তলায় চলে যায়। সদরঘাটের লোহার জেটি থাকায় ফেরি পারাপার চললেও নিমতলা এবং শিবতলা ঘাটে ওইদিন নৌকা চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মূল ঘাট থেকে অনেকটাই উপরে ঘাট তৈরি করে মাচা বেঁধে বুধবার থেকে নিমতলা ও শিবতলা ঘটে ফেরি পারাপার চালু হয়। কিন্তু, নদীতে প্রচুর জল থাকায় হুড়োহুড়ি করে নৌকায় উঠতে বা নামতে গিয়ে বা অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, মালদহে নৌকা ডুবির পর আরও নড়েচড়ে বসে পুলিস প্রশাসন।
জিয়াগঞ্জ থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, নদীতে প্রচুর জল বেড়েছে। জেটির কাছে জলের গভীরতা প্রায় সাত থেকে আট ফুট রয়েছে। এদিকে নৌকায় উঠতে বা নামতে গিয়ে অনেকেই প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন। এই প্রতিযোগিতার ফলে নদীতে পড়ে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী, প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাছাড়া অনেক সময় নৌকার বহন ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে নদী পারাপার করা হয়। ভরা নদীতে বহন ক্ষমতার থেকে বেশি যাত্রী নিয়ে পারাপার করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই সব বিষয়ে নজরদারি চালানোর জন্য পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিসের পাশাপাশি জলসাথীও রয়েছেন। একইসঙ্গে ঘাটগুলিতে মাইকিং করে মাঝি এবং যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে।