উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এখন করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সরকারি হাসপাতালগুলিতে আগেভাগে পরিকাঠামো গড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
দিনাহটা মহকুমার করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য দিনহাটার বিভিন্ন পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিশু মঙ্গল সেবা সমিতি নামে একটি কমিটি গড়েছে। ক’দিন আগেই দিনহাটা পুরসভার কনফারেন্স হলে ওই সমিতি গড়া হয়। ওই সমিতিই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে শিশুদের জন্য বিশেষ বিভাগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিনহটার প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ, দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রঞ্জিত মণ্ডল, চিকিৎসকদের সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষক সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। ওই বৈঠকের স্থির হয়েছিল, মহকুমা হাসপাতালের একটি রুমে ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। সেই মতো রবিবার অর্থ সংগ্রহ শিবির করা হয়। সেখানে প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহ নিজে ২৫ হাজার টাকার চেক দেন। বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই অর্থ সাহায্য করেন। এদিন শিবির থেকে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উঠে আসে।
ওই সমিতির সদস্য বিশু ধর বলেন, প্রথমদিনে অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রায় তিনলক্ষ টাকা উঠেছে। আরও অনেকে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করছেন। খুব শীঘ্রই ওই বিভাগ তৈরির কাজ শুরু করব। হাসপাতাল ক্যাম্পাস ব্যবহার করার জন্য অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, এটা খুবই ভালো ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে সরকারি জায়গায় এটি চালুর জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমোদনের দরকার। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ নার্সের প্রয়োজন আছে। সেসব নিয়ে ইতিমধ্যেই ওরা আবেদন করেছে।
উদয়ন গুহ বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউতে দিনহাটার শিশুদের চিকিৎসার জন্য যাতে কোন সঙ্কট না হয় সেজন্য শিশুমঙ্গল সমিতি গড়া হয়েছে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে নিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে দিনহাটা হাসপাতালে একটি বিশেষ বিভাগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। অনেকেই অর্থ সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন। আমরা এরমধ্যেই কাজ শুরু করব।