সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: আগামী সপ্তাহে ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লকে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্কের কাজ শুরু হচ্ছে। খাদ্য সরবরাহ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জেলায় এসে পৌঁছেছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী উপভোক্তাদের দুয়ারে গিয়ে আধারের সঙ্গে ডিজিটাল রেশন কার্ডের লিঙ্ক করে দেওয়া হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আধার লিঙ্ক করতে একটি সংস্থার সঙ্গে দপ্তরের চুক্তি হয়েছে। রেশন উপভোক্তরা একেবারে নিঃশুল্ক এই পরিষেবা পাবেন। ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে। তবে এখনও অনেক উপভোক্তা এই কাজ করেননি। খাদ্য সরবরাহ দপ্তর জানিয়েছে, কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক। অনেকেই জানেন না, কীভাবে এই কাজটি করতে হবে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরও তা করানোর উদ্যোগ নিয়েছে। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এই সংযুক্তিকরণে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। রেশন ডিলারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্কের কাজ বিভিন্ন রেশন ডিলারের কাছে এবং বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে করা হচ্ছে। ওইসব স্থানে যথাযথভাবে আগের মতোই হবে। পাশাপাশি দুয়ারে দুয়ারে গিয়েও তা করা হবে। এ জন্য গ্রাহককে মোবাইল নম্বর, ডিজিটাল রেশন কার্ড, আধারকার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ির মুখ্য খাদ্য পরিদর্শক সুপ্রকাশ মণ্ডল বলেন, ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করা হলে থাম্ব ইমপ্রেশনের সাহায্যে গ্রাহকরা রেশন তুলতে পারবেন। যাঁর রেশন কার্ড, তিনি নিজে খাদ্যসামগ্রী যেমন তুলতে পারবেন, তেমনই তাঁর পরিবারের কেউ রেশন দোকানে গিয়ে রেশনের সামগ্রী তুলতে পারবেন। ডিলারের কাছে গিয়ে কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে থাকা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়েও উপভোক্তা আধার লিঙ্ক করিয়ে নিতে পারবেন। যাঁরা এখনও আধার লিঙ্ক করেননি, তাঁদের বাড়ির দুয়ারে গিয়ে ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করিয়ে দেব। কিছুদিন আগে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দপ্তরে এসেছে। আগামী সপ্তাহেই এই পরিষেবা চালু করতে চাইছি।
প্রসঙ্গত, ময়নাগুড়ি ব্লকে মোট রেশন ডিলার ৬১ জন। এখানে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ। অপরদিকে, ধূপগুড়ি ব্লকে রেশন ডিলার রয়েছেন ১১০ জন। সেখানে রেশন উপভোক্তা প্রায় পাঁচলক্ষ। অনেকে এখনও এই সংযুক্তিকরণের কাজ করেননি।