উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ফুলবাড়ির লঙ্কাচাষি সঞ্জিত দাস বলেন, বাইরে থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখন আর আসছেন না। জেলার ফড়েরা নিজেদের মতো দাম ঠিক করছেন। এমনও দিন যাচ্ছে দু’টাকা কেজি লঙ্কার দাম পাচ্ছি। খেত থেকে লঙ্কা তুলতে যে টাকা খরচ হচ্ছে, বিক্রি করে সেই টাকা উঠছে না। তাই জমিতেই লঙ্কা পচছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছি। কামারপাড়া কুরমাইলের লঙ্কাচাষি উত্তম মাহাত বলেন, দু’বিঘা জমিতে লঙ্কা লাগিয়েছি। দু’টাকা-তিন টাকা কেজি দরে লঙ্কা বিক্রি করছি। এখন ঠিক করেছি, দাম না উঠলে ওই টাকায় আর লঙ্কা বিক্রি করব না।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক সমেরেন্দ্র খাঁড়া বলেন, এবার লঙ্কার ভালো ফলন হয়েছে। বিভিন্ন কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা হয়তো আসছেন না। আর চাষিরা লঙ্কার কম দাম পাচ্ছেন, এটা সম্প্রতি কানে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, জেলায় সব্জিচাষ এখন ভালো হচ্ছে। লঙ্কা সংরক্ষণের জন্য কোনও হিমঘর নেই জেলায়। ফুলবাড়িতে লঙ্কার বড় বাজার বসে। যাতে সেখানে কিছু করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে। লঙ্কার দাম কৃষকরা যাতে পান, এ নিয়ে দ্রুত দপ্তরে কথা বলব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কামারপাড়া, গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি, হরিরামপুর, তপনে প্রতিবছর বাইরের রাজ্য ও জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি লঙ্কা কিনে নিয়ে যান। এখন করোনার কারণে বিশেষ বিধিনিষেধের জন্য বাইরের রাজ্য কিংবা জেলা থেকে তাঁরা আসতে পারছেন না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা না আসার সুযোগ নিয়ে ফড়েরা গোটা বাজারই কার্যত নিয়ন্ত্রণ করছেন। জেলার পাইকারি বাজারে কোনওদিন তাই দু’টাকা তো কোনওদিন পাঁচটাকা কেজি দরে লঙ্কা ফড়েদের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। তাঁদের হাত ধরে কাঁচালঙ্কা অন্য রাজ্য ও জেলায় পাড়ি দিচ্ছে। এই অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে চাষিরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করছেন।