উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং ইনচার্জ লিলি সরকার বলেন, নার্সিং স্টাফরা সকলেই খাবারের জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। নিজেরাই খাবারের ব্যবস্থা করব। এটা হাসপাতাল সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। মেডিক্যালের সুপার ডাঃ রাজীব প্রসাদ বলেন, মেডিক্যাল কলেজে করোনার কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পক্ষ থেকে একটি দাবি জানানো হয়েছিল, তাঁদের জন্য বরাদ্দ খাবার না দিয়ে সেই টাকা তাঁদের দিয়ে দেওয়া হোক। সেই টাকা দিয়ে তাঁরা কী খাবেন ,সেটা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার। আমি প্রিন্সিপালকে বিষয়টি জানিয়েছি। প্রিন্সিপাল ডিউটি রোস্টার অনুসারে খাবার পাঠানোর কথা বলেন।
প্রিন্সিপাল ডাঃ সুকুমার বসাক বলেন, কর্তৃপক্ষ খাবার প্যাকেট দিচ্ছে। কিন্তু, অনেকেই খাবার নিতে ইচ্ছুক নন। এখানে প্রথমদিন থেকেই খাবারের প্যাকেট দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। যাঁরা ডিউটি করবেন তাঁরা প্যাকেট পাবেন। কিন্তু, তার পরিবর্তে তো টাকা দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বলেছি, ডিউটি রোস্টার দিন। আমরা খাবারের জন্য কুপন দিয়ে দেব। সেই অনুসারে খাবারের প্যাকেট হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। উপর মহল থেকেই খাবার দেওয়ার নির্দেশ আছে। তার দাম কত হবে তা বলা রয়েছে। সেটা কোভিড ফান্ড থেকেই খরচ হবে।
ওএসডি বলেন, সরকারি নিয়মে যা উল্লেখ আছে তাই হবে। সরকারি নিয়ম বলছে, খাবার দেওয়া হবে। তার বদলে টাকা কাউকে দেওয়া হবে না।
কোভিডে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যাঁরা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করছেন তাঁদের জন্য ২০০ টাকা এবং যাঁরা আটঘণ্টা ডিউটি করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা করে খাবারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন এমন ৮০-৯০ জন কোভিডের ডিউটি করছেন বলে মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে।