উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
বিজেপি পরিচালিত মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭ জন সদস্যের মধ্যে বিজেপির ১২ জন, তৃণমূলের চারজন এবং সিপিএমের একজন সদস্য রয়েছেন। প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপির ছয় সদস্য অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে দলের মধ্যে দু’টি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ভোটপর্ব মেটার পর পঞ্চায়েতের একাধিক কাজ শুরু হতেই টেন্ডার নিয়ে দলের মধ্যে ঝামেলা তৈরি হয়। এতে প্রধান ও উপপ্রধানকে অপসারিত করতে অনাস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপির ছয় সদস্য প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছেন। জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি জানলেও কোনও সমাধান করতে পারেনি। সেই সুযোগে এক গোষ্ঠীকে তৃণমূল নিজেদের দলে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিডিও ছেবাং তামাং বলেন, মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থার চিঠি পেয়েছি। নিয়ম মেনে সভা ডাকা হবে।
মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান লক্ষ্মী দাস বলেন, শুনেছি আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে। আমাদের পঞ্চায়েতের একাংশ বিজেপি সদস্য শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই কারণে এমন চক্রান্ত করে বোর্ড ভাঙার চেষ্টা চলছে। জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি জানলেও কোনও পদক্ষেপ করছে না। বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি সুশীল মার্ডি বলেন, এটা দলের ভিতরের ব্যাপার। কিছু ঝামেলা হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
অন্যদিকে, তৃণমূল শাসিত স্থানীয় জাখিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও দলীয় সদস্য তথা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন দলেরই সদস্যরা। বিডিও এদিন জানান, সেই নোটিসও পেয়েছি।
বিধানসভা ভোট মিটতেই কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা ও জাখিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে কুমারগঞ্জে বিজেপির ভরাডুবি হতেই দলের একাংশ নেতা-কর্মী জেলা নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। যার জেরে মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্যরা দু’টি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছেন বলে দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, জাখিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেননি, এমন অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা এনেছেন। জাখিরপুরের উপপ্রধান বাচ্চু মণ্ডলের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়িতে চাকরি দেওয়ার নামে আমাকে দিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিইয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তোরাব হোসেন মণ্ডল। কিন্তু অনেকেই চাকরি পাননি। এখন তাঁরা আমার কাছে টাকা ফেরত চাইছেন। বারবার বিধায়কের কাছে সেই টাকা চেয়ে পাইনি। যে কারণে নির্বাচনে আমাকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন দলের হয়ে কাজ করছি। এখন সেই দলের সদস্যরা যদি আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন, তাহলে কিছু বলার নেই। কুমারগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেন, আমার নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কুমারগঞ্জের জাখিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের ১১ জন, আরএসপি’র তিনজন এবং সিপিএেমর একজন সদস্য রয়েছেন। উপপ্রধান বাচ্চু মণ্ডলের বিরুদ্ধে ১০ জন তৃণমূল ও একজন আরএসপি সদস্যরা অনাস্থা আনতে চিঠি দিয়েছেন।