শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে সিনেমা হলগুলি বন্ধ ছিল। এখন আস্তে আস্তে সবকিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিন থেকে সিনেমা হলগুলিও খুলে দেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে। কিন্তু তারপরেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হলগুলি খোলার প্রতি যেমন আগ্রহ দেখাননি মালিকরা। তেমনই সিনেমা দেখতে যেতেও উৎসাহ দেখাননি বাসিন্দারা।
গঙ্গারামপুরের ওই সিনেমা হলের মালিক দীপককুমার গুণ বলেন, লকডাউনের কারণে এতদিন সিনেমা হল বন্ধ ছিল। প্রচুর লোকসান হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী এদিন সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হল খোলা হয়েছিল। প্রথম শো’তে মাত্র দু’জন এসেছিলেন। তাঁদের নিয়েই আমরা শো চালিয়েছি। কিন্তু পরে আর দর্শক না আসায় বাকি শোগুলি চালাইনি। হল খোলা রয়েছে। দর্শক এলে শো চলবে। নতুন সিনেমা রিলিজ না হওয়ায় পুরনো সিনেমাই চলছে। তাই মনে হয় ভিড় হয়নি। এছাড়া অনেকেই করোনার ভয়েও আসতে চাইছেন না।
বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় অবস্থিত সিনেমা হলটি করোনা পর্বের আগে বেশ জনপ্রিয়ই ছিল। কিন্তু সাতমাস ধরে বন্ধ থাকার পর এদিন আর সেটি খোলেনি। সেই হলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরঞ্জামের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হলটি এখনই খোলা যাচ্ছে না। এদিকে, হল চালুর জন্য গত কয়েকদিন থেকেই স্যানিটাইজ করা এবং ডিপ ক্লিনিং প্রক্রিয়া চলছিল। তারপরও এদিন শেষ পর্যন্ত হল খুলতে না পারায় হতাশ কর্তৃপক্ষ। ওই হলের ম্যানেজার বাবাই দে বলেন, পড়ে থেকে থেকে যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেজন্য এদিন শো চালু করা যায়নি। আশা করছি দু’একদিনের মধ্যেই টেকনিক্যাল সমস্যাগুলি মিটে যাবে। তারপরেই আমরা হল চালু করে দেব।
বালুরঘাট শহরে আরও একটি হল রয়েছে কোর্ট মোড়ে। সেটিও এদিন খোলেনি। সেই হলটি খোলার ক্ষেত্রেও বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোকসানের ভয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে আদৌ দর্শক আসবেন কি না, তা বুঝতে না পেরে, এখনই হল খুলতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তাদেরও দাবি, সিনেমা চালানোর সরঞ্জামে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন যাক, তারপর পরিস্থিতি বুঝেই হল খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। হলের মালিক দীপঙ্কর বসু বলেন, এখনই নতুন কোনও সিনেমা নেই। তাই মানুষজন আসবে কি না, জানা নেই। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে হল বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতির কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিছুদিন পর থেকে হল খুলব।
অন্যদিকে, মালদহের জেলা সদর ইংলিশবাজারের দু’টি হলের মধ্যে একটিমাত্র খুলেছে। নেতাজি রোডের সেই হলে চারটির বদলে হয়েছে মাত্র দু’টি শো। সেই দু’টি শোয়ে মোট দর্শক মাত্র ১৫ জন।