সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার ১, ২ ব্লক, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পতিত হয়ে থাকা জমিকে কৃষি দপ্তর চিহ্নিত করেছে। গোটা জেলা জুড়ে প্রায় ২৫ -৩০ হাজার হেক্টর জমি বর্তমানে পতিত অবস্থায় রয়েছে। তবে এর মধ্যে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই চাষিরা একবার চাষ করেই তা পরবর্তী মরশুমে আর চাষ না করে ফেলে রাখেন। সেই জমিগুলিকে ফের পরবর্তী মরশুমে চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। এব্যাপারে প্রাথমিকভাবে চাষিদের গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে একবার চাষ করার পর পরবর্তী মরশুমে ডাল জাতীয় শস্য অথবা ভুট্টা চাষ করা যেতে পারে। এতে প্রাকৃতিক উপায়ে জমির উর্বরতাও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি দুটি প্রধান ফসলের মাঝামাঝি ডাল জাতীয় ফসলের চাষ করা হলে চাষিরাও মাঝের সময়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে চাষিদের অবহিত করা শুরু হয়েছে। চাষিদের মধ্যেও কৃষি দপ্তরের এই পরামর্শ যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
চাষিদের একাংশের মতে, মূলত সচেতনতার অভাবেই পতিত জমিতে চাষ করার ব্যাপারে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ দেখা যেত না। তবে বর্তমানে অনেকেই জমি ফেলে না রেখে তা চাষ করার দিকে এগোচ্ছেন। এতে তাঁরা নতুন করে লাভের মুখ দেখতে পাবেন। অন্যদিকে, কৃষি দপ্তরও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে বছরভর চাষের জন্য সেচ ব্যবস্থার উন্নতির উপর জোর দিচ্ছেন। পাশাপাশি কম জলে চাষ হয় এমন ফসল নির্বাচনের ব্যাপারেও চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্ত পতিত জমিগুলিকে ফের চাষের আওতায় আনা সম্ভব হলে জেলাতে ফসল উৎপাদের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। চাষিরাও এতে উপকৃত হবেন।