কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
চিঠিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুরা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। প্রায়শই তাঁরা নানা অত্যাচার-অবিচারের শিকার হচ্ছেন। দিনের পর দিন পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে হিন্দুদের রক্ষা করতে দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলির আর্জি, অবিলম্বের একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি কমিটি তৈরি করা হোক। সেই কমিটি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে তদন্ত করবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নেতৃত্বে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে নিয়ে একইভাবে তদন্তের দাবি তুলেছেন সংগঠনগুলির কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, যেভাবেই হোক গণহত্যা, অত্যাচার-অবিচার থেকে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে। সংগঠনের সদস্যরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পাকিস্তানের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট করে কোনও নাম উল্লেখ না করলেও বরিস জনসকে লেখা চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, জনমানসে হিন্দু বিদ্বেষ তৈরি করতে পাকিস্তানের কিছু প্রভাবশালী মানুষ সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। এর জেরে হিন্দুদের পাশাপাশি, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ ও শিখরাও অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে ডাউনিং স্ট্রিটে বৈঠক ডাকার জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই চিঠি প্রসঙ্গে ‘বর্তমান’-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটেনের হিন্দু ফোরামের প্রেসিডেন্ট ত্রুপ্তি প্যাটেল। তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানে বসবাসকারী সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। সময়ে সময়ে সেদেশে সরকার বদলে গেলেও পরিস্থিতির একই রয়ে গিয়েছে। বরং, অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়েছে। কিন্তু, সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। তাঁদের বাঁচাতে অবিলম্বে গোটা বিশ্বের একত্রিত হওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ত্রুপ্তি দেবী ছাড়াও এই চিঠিতে সই করেছেন হিন্দু স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রেসিডেন্ট ধীরাজ শাহ, হিন্দু কাউন্সিল ইউকে’র জেনারেল সেক্রেটারি রজনীশ কাশ্যপ। এছাড়া ন্যাশনাল কাউন্সিল অব হিন্দু টেম্পেলস ইউকে’র প্রেসিডেন্ট অরুণ থাকার, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রেসিডেন্ট ত্রিভুবন জোতনগিয়াও সাক্ষর করেছেন চিঠিতে।