উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাট বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না। তাঁদের ক্ষোভের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে কোনওপ্রকার সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে সঞ্জয় রাউত সহ সমন্ত নেতাদের অনুরোধ করেন তিনি। কংগ্রেস নেতা বলেন, ইন্দিরা গান্ধী সম্বন্ধে ‘ভুল’ তথ্য কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রয়াত নেত্রীকে নিয়ে ওই মন্তব্যে হতাশ। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তোলা হবে। তাঁর কথায়, ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন জাতীয় নেত্রী। ১৯৭৫ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মুম্বইয়ের অপরাধ জগতের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন। তখন করিম লালা, হাজি মস্তান এবং ইউসুফ প্যাটেলের মতো ডনরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে ছিল না।
বুধবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাউত দাবি করেন, এক সময় হাজি মস্তান, করিম লালা, ইউসুফ প্যাটেলের মতো অন্ধকার জগতের ডনরা বকলমে মহারাষ্ট্র চালাত। ওই সময় মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনার কে হবেন বা রাজ্য সচিবালয়ে কে বসবেন, তা ঠিক করে দিত অন্ধকার জগতের এই ডনরা। এমনকী, ইন্দিরা গান্ধীও করিম লালার সঙ্গে দেখা করার জন্য দক্ষিণ মুম্বইয়ের পাধোনেতে আসতেন। রাউতের এই মন্তব্যের পরই তেড়েফুঁড়ে ওঠে কংগ্রেস। দলের নেতা সঞ্জয় নিরুপম বলেন, দেশের আইকন তথা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘ভ্রান্ত প্রচার’ করা একেবারে উচিত হয়নি সঞ্জয় রাউতের। মিলিন্দ দেওরা বলেন, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘বিকৃত’ মন্তব্য করা একেবারে উচিত নয়। ইন্দিরা গান্ধী সত্যিকারের দেশপ্রেমী ছিলেন। জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে তিনি কখনই আপস করেননি।
এদিকে রাউতের মন্তব্যে ঘিরে শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেসের চাপানউতোর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ওই মন্তব্য প্রত্যাহারের আগে প্রত্যেকদিনই কিছু না কিছু ‘সত্যি’ বেরিয়ে আসছে। ক্ষমতার লোভ ও সুবিধা নেওয়ার জন্যই ওই জোট তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, মুম্বই বিস্ফোরণে জড়িত দাউদ ইব্রাহিমকে পালাতে কংগ্রেস নেতারাই সাহায্য করেছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এমন মন্তব্য করা সত্ত্বেও কেন নীরব রয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব? তাহলে কি অন্ধকার জগতের পয়সা কংগ্রেসের ফান্ডে যেত? পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজ্যে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি শুরু হয়েছে। নির্বাচনে জিততে ‘পেশি শক্তি’র উপর নির্ভর করে রয়েছে কংগ্রেস।
করিম লালা কে?
পুরো নাম আব্দুল করিম শের খান। জন্ম আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে।
১৯২০ সালে একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ নিয়ে মুম্বইয়ে প্রবেশ। পরে পাঠান গ্যাংয়ে যোগ।
১৯৬০-১৯৮০ পর্যন্ত মুম্বইয়ে মদ-জুয়ার ঠেকের পাশাপাশি তোলাবাজি চক্র চালাত পাঠান গ্যাং।
২০০২ সালে করিম লালার মৃত্যু হয়।