উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিন, নির্ভয়ার পরিবারের আইনজীবী সীমা খুশওয়া আদালতে স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু, তা এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছেছে কি না, তা পরিষ্কার নয়। তাই এই আর্জির উপর ভিত্তি করে মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি করা ঠিক নয়।
এদিকে, দোষীদের ফাঁসি পিছিয়ে যাওয়ায় একেবারেই খুশি নয় নির্ভয়ার মা আশা দেবী। মৃত্যুদণ্ডের জন্য নির্ধারিত দিন না পিছনোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে আশা দেবী বলেন, ‘ফাঁসির দিন পিছনো উচিত নয়। দোষীদের জন্য আইনের বেশ কিছু ফাঁক-ফোঁকর রয়েছে। কিন্তু, আমি নিজের চোখে মেয়ের মৃত্যু দেখেছি। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে সে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছে। বিগত সাত বছর ধরে বিচারের জন্য আদালতের চক্কর কাটছি। এটা কোনওভাবে শেষ হচ্ছে না।’ এরপরই ক্ষোভের সুরে তাঁর প্রশ্ন, ‘তিহার জেলের আধিকারিক এবং দিল্লি সরকারের অবহেলার জন্য আমাকে কেন ভুগতে হবে?’ পাশাপাশি নির্ভয়ার বাবা বলেন, আমরা আশা ছাড়ছি না। শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য দোষীরা নানা আইনি ফন্দি-ফিকির করছে। কিন্তু, ফাঁসির দড়ি থেকে তাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিল্লি সরকার হাইকোর্টে জানিয়েছিল, ২২ জানুয়ারি দোষীদের ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ, মঙ্গলবার মুকেশ সিং নামে এক দোষী প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে। আইন অনুযায়ী, সেই আর্জি খারিজ হলেও, তাদের ১৪ দিন সময় দিতে হবে। তাই, ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। গত ৭ জানুয়ারি দিল্লির দায়রা আদালত রায় দিয়েছিল যে, ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটার সময় চার অপরাধী বিনয়, মুকেশ কুমার, অক্ষয় কুমার সিং ও পবন গুপ্তার ফাঁসি হবে।