নয়াদিল্লি, ৯ নভেম্বর (পিটিআই): সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই অবসর নিতে চলেছেন রঞ্জন গগৈ। অবসরের আগে শনিবার ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হল। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ সদস্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এস বোবদে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এস আবদুল নাজির এবং অশোক ভূষণ সার্বিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠা পায় সুপ্রিম কোর্ট। আর অযোধ্যার জমি বিতর্কের বিষয় সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা হওয়ারও আগে থেকে চলছে। অবশেষে এদিন সেই বিতর্কের অবসান হল। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চকে নেতৃত্ব দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। বুদ্ধিমান, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং নির্ভীক বিচারপতি হিসেবে তিনি বিশেষ পরিচিত। অযোধ্যা মামলায় ৪০ দিনের ম্যারাথন শুনানিতে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ১৭ নভেম্বরের আগে মামলার রায় ঘোষণা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই রায় ঘোষণা হল। গগৈ ছাড়া বিচারপতি বেঞ্চে ছিলেন এস এ বোবদে। তিনিই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন। তাঁকে এই মামলার শুনানির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি আগে জানিয়েছেন, শুনানির সময় তিনি কখন চেয়ার থেকে কিছুক্ষণের জন্যও উঠেছেন সেটাই ভুলে গিয়েছেন। বেঞ্চের আর এক সদস্য ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মাত্র সাড়ে তিন বছর হল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে এই অল্প সময়েই তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারপতি বেঞ্চের সদস্য থেকেছেন। তার মধ্যে রয়েছে আধার বৈধতার রায়, সবরীমালা এবং কাশ্মীরের ৩৭৭ ধারা খারিজের মতো মামলা।
এদিনের বিচারপতি বেঞ্চের আরও দুই সদস্য হলেন অশোক ভূষণ এবং এস এ নাজির। প্রসঙ্গত, বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং এন ভি রমন এই মামলার বিচারপতি বেঞ্চ থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নেন। রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই অযোধ্যা মামলার রায় থেকে ওই দুই বিচারপতি নিজেদের দূরে রাখেন। তাঁদের জায়গাতেই বেঞ্চে স্থান পান অশোক ভূষণ এবং এস এ নাজির।