নয়াদিল্লি, ৯ নভেম্বর (পিটিআই): অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি এস আব্দুল নাজির। এই বেঞ্চের পাঁচ সদস্যের মধ্যে একমাত্র মুসলিম বিচারপতি। ধর্ম সংক্রান্ত মামলায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম পছন্দের বিচারপতি। শনিবার এই মামলার শুনানিতে সব পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় এই পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই মামলার সাংবিধানিক বেঞ্চে যোগ দেওয়ার আগে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের সঙ্গে তিন বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি নাজির। ১৯৯৪ সালে অযোধ্যা মামলার রায়ে বলা হয়েছিল, ইসলাম ধর্ম পালনের জন্য মসজিদ আবশ্যিক নয়। সেই রায় খতিয়ে দেখার জন্য আরও বড় বেঞ্চ গড়ার আবেদন খারিজ করে দেয় তিন সদস্যের ওই বেঞ্চ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই রায়ের পরেই অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত শুনানির জন্য পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। যদিও ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ সদস্যের মধ্যে বিচারপতি নাজির এবং বিচারপতি ভূষণের নাম ছিল না। পরবর্তীতে দুই বিচারপতি এন ভি রামানা এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বদলে বিচারপতি নাজির এবং বিচারপতি ভূষণকে এই সাংবিধানিক বেঞ্চে যুক্ত করা হয়।
এর আগে, তাৎক্ষণিক তিন তালাক মামলায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চেও ছিলেন তিনি। সেই মামলার শুনানির শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত তিন তালাককে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও তিনি সুপ্রিম কোর্টের ন’সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ন’সদস্যের ওই বেঞ্চ গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছিল।