সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
চন্দ্রবাবু বলেন, আপনাদের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসেছি। তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসতে পেরে আমি খুশি। মমতাদিদিকে শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। তিনি বাংলা নয়, দেশের জন্য কাজ করছেন। এই এলাকা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। অশান্তি ও হিংসা লেগে থাকত। মমতা ক্ষমতায় আসার পরে জঙ্গলমহলের মানুষকে শান্তি দিয়েছেন। এলাকায় যেভাবে উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ভারতবর্ষের কাছে অনুকরণীয়। এবার নতুন করে দেশ গড়ায় বড় ভূমিকা নেবেন তিনি।
তিনি বলেন, মমতার উল্লেখযোগ্য কাজ হল নারীদের ক্ষমতায়ন। এছাড়া ভারতবর্ষের মধ্যে একশো দিনের কাজ সবচেয়ে ভালো করেছে বাংলা ও অন্ধ্রপ্রদেশ। বাংলার সড়ক যোজনা, বাংলা আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি নির্মাণে পশ্চিমবঙ্গ যে কাজ করেছে, অন্য কোনও রাজ্য তা করতে পারেনি। গত পাঁচ বছরে মোদি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বললেও তাঁদের আয় কমেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন। অথচ দিদি এই রাজ্যে কৃষকদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। কৃষকদের বার্ষিক আয় এরাজ্যে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কন্যাশ্রী ভারতবর্ষের মধ্যে নজর কেড়েছে। দিদির কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। দু’টাকা কেজি চাল ও খাদ্যসাথী অন্য কোনও রাজ্য দিতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিচ্ছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েছেন। যিনি আপনাদের এত উন্নয়ন করছেন, শুধু ঝাড়গ্রাম নয়, ভোট দিয়ে তাঁর হাতে ৪২টি আসনই তুলে দিন। অন্যদিকে হলদিয়ায় অনুষ্ঠিত সভায় চন্দ্রবাবু বলেন, হলদিয়াকে আগামী দিনে দেশের সেরা বন্দর হিসেবে দেখতে চাই। সেটা দিদির নেতৃত্বেই সম্ভব। মোদিকে চ্যালেঞ্জ করছি, তাঁর পাঁচ বছর আর দিদির সাত বছরের কাজ নিয়ে বিতর্ক হোক। মোদি আসলে পাবলিসিটি, প্রোপাগান্ডা ও ইলেকশন-প্রাইম মিনিস্টার। আর দিদি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী। মোদির এক-একটি পোশাকের দাম ১০-২০ লক্ষ টাকা। সেখানে মমতাদিদি সাধারণ হ্যান্ডলুমের শাড়ি পরেন। এটাই দিদির সরলতা।
জনতার উদ্দেশে এদিন চন্দ্রবাবু বলেন, মোদির ১৫ লক্ষ টাকা কেউ পেয়েছেন? প্রত্যেক বছর কেন্দ্রীয় সরকারের ২ কোটি চাকরি পেয়েছেন? মোদি নিজেকে সততার প্রতীক বলেন। আমি বলি মোদি ভারতবর্ষের সবচেয়ে দুনীর্তিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য রাজ্য এমনকী আমার রাজ্যেও এক বা দু’দফায় ভোট হয়েছে। কিন্তু এখানে সাত দফায় ভোট হচ্ছে মোদির নির্দেশে। মোদি চান, বাংলা থেকে কয়েকটি আসন জিততে। কিন্তু আমার স্থির বিশ্বাস কয়েকটা আসন তো দূরের কথা, একটি আসনেও তিনি জিততে পারবেন না। তিনি বলেন, এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী ফেডারেল স্ট্রাকচার ভেঙে দিয়েছেন। তিনি রাজ্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপই শুধু নয়, রাজ্যপাল, সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অপব্যবহার করছেন। এটাই মোদির শেষ নির্বাচন। আগামী ভারতবর্ষ নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে। আমি কথা দিচ্ছি, আগামী ২৩মে-র পর দিল্লিতে যে অবিজেপি সরকার হবে, সেই সরকার গঠনে বড় ভূমিকা নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তৃণমূলকে ভোট দিন। সেইজন্যই আমি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলায় এসেছি। মোদি গত পাঁচ বছরে বিদেশে ঘুরেছেন। এখন পশ্চিমবঙ্গে ঘনঘন ভোট চইতে আসছেন। এরাজ্যের মানুষের উন্নয়নে ও প্রয়োজনে তিনি কতবার এসেছেন?
সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে সরকার গঠনে যেন বড় ভূমিকা নেন, তার জন্যই আপনারা তৃণমূলে ভোট দেবেন। বিজেপি জুমলা পার্টি। গত পাঁচ বছরে একটাও উন্নয়নের কাজ হয়নি। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ে আদিবাসীদের জমি লুট হয়েছে। একমাত্র আমাদের রাজ্যে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়নি।