কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
অন্যদিকে, এই সম্মেলন থেকেই এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিরোধীদের আন্দোলনের সমালোচনা করা হয়। এই ইস্যুকে নিয়ে শিক্ষকদের ভূমিকার সমালোচনা করেন এবিভিপি’র রাষ্ট্রীয় সংগঠন সম্পাদক (পূর্ব) সুনীল আম্বেকর। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষকরা পড়ুয়াদের ভুল পথে চালিত করছেন। যাঁরা এমন করছেন, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই নেতা। সম্মেলনে এনআরসি এবং সিএএ নিয়েই মূলত বক্তব্য রাখেন তিনি। এছাড়া জেনএনইউ কাণ্ড নিয়েও বামেদের কঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় এই নেতা। তাঁর বক্তব্য, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছেন বাম ছাত্র নেতারাই। সেখানকার হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও এক হাত নিয়েছেন সুনীলবাবু। তিনি বলেছেন, ছাত্ররা রাজ্যপালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এরপরই দেশজুড়ে শিক্ষকদের প্রতি তোপ দাগেন এই নেতা। ক্লাসে পড়ুয়াদের সঠিক পাঠ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সুনীলবাবু। তবে সিএএ বা এনআরসি নিয়ে যতই আন্দোলন হোক না কেন, এবিভিপি এর পক্ষে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাবে। বামপন্থীরা শহরে প্রচার করছেন, এবিভিপি কর্মীরা গ্রামের কলেজে যাবেন। প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছবে আমাদের কর্মীরা।
এবিভিপি কর্মীরা আরও একটি প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। এদিনের সম্মেলন থেকে তা ঘোষণা হল। এর নাম ‘স্কুল বেল’। প্রাথমিক স্কুলগুলিতে গিয়ে এবিভিপি বাচ্চাদের নানা বিষয় বোঝাবেন কর্মীরা। স্কুলছুট রুখতেই এমন উদ্যোগ বলে মত অবিভিপি কর্মীদের। কেন ক্লাস করা উচিত, মিড ডে মিল কেন দেওয়া হয় ইত্যাদি বোঝানো হবে।