শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
গত রাজ্য প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সব দপ্তরের কাজ নিয়ে একটি নোট বুক তৈরি করেছিলেন। তাতে বিভিন্ন দপ্তরের সাফল্য বুলেট পয়েন্টে প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে দেখা যায়, স্টেট প্ল্যান বাবদ খরচ গত আট বছরে ছ’গুণ বেড়েছে। কৃষিক্ষেত্রে খরচ ন’গুণ বেড়েছে। রাস্তা, উড়ালপুল সহ পরিকাঠামো তৈরিতে পাঁচগুণ খরচ বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০টি। কলেজের সংখ্যা ৪৬৫টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১৫টি। এক কোটি সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ৬০ লক্ষ ছাত্রীকে কন্যাশ্রীর আওতায় আনা হয়েছে, যার ফলে ড্রপ আউট কমেছে। মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ১০টি থেকে বেড়ে ১৮টি হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৫৮টি থেকে বেড়ে ৮৬টি হয়েছে। কৃষকের আয় তিনগুণ বেড়েছে। ২০১১ সালে ৫৫ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল, এখন প্রায় ১০০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে।
এইভাবে নোট বুক আকারে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হয়। এই নোটবুক দেখে খুশি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি সব দপ্তরের সাফল্য তুলে ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে সব দপ্তরেই। দপ্তরগুলির বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে বাম আমলের শেষ আর্থিক বছরের সঙ্গে মমতার সরকারের ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের কাজের সাফল্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই খতিয়ান নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। সাফল্যের সেই খতিয়ান তুলে ধরে পকেট বুক তৈরি করা হবে। যা বিধানসভা থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেওয়া হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁর সরকার প্রতিটি স্তরে অনেক কাজ করেছে। তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে পকেট বুক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যা আগামী পুরভোট ও বিধানসভার ভোটে তৃণমূলের প্রচারের হাতিয়ার হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তিনি মুখে বলেন না, তথ্য সহকারে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরতে চান। উন্নয়নের ছোঁয়া তৃণমূলস্তর পর্যন্ত যে পৌঁছেছে, তা তুলে ধরতেই ওই বই বের করা হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।