পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
সাধারণ করদাতাকে যেমন অগ্রিম কর মিটিয়ে দিতে হয়, তেমনই শিল্প সংস্থাগুলিকেও বছরভর মেটাতে হয় আয়কর। দেখা যাচ্ছে, গত আর্থিক বছরে যে আদায় হয়েছিল, সেখান থেকে বৃদ্ধি তো দূরের কথা, বহু জায়গায় সেইটুকু আদায় করতেই নাভিশ্বাস উঠছে। সর্বভারতীয় স্তরে আদায় বৃদ্ধির তুলনায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে এ রাজ্যের আয়কর আদায়। কেন এই অবস্থা, তা জানতে রাজ্যের ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠান আয়কর কর্তারা। কেন তাঁরা আয় বাড়াতে পারলেন না, তার তত্ত্বতালাশ শুরু করেন। সেখানেই উঠে আসে নোটবন্দি ও জিএসটি তত্ত্ব। ব্যবসায়ীরা জানান, নোটবাতিলের ফলে বাজারে যেভাবে নগদ টাকায় টান পড়েছিল, তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এখন। এর উপর জিএসটি চালু হওয়াটা গোদের উপর বিষফোঁড়া। নিয়ম মেনে জিএসটি জমা করতে যে খরচ হচ্ছে, তাতে ঢাকের দায়ে মনসা বিকোচ্ছে। এমন অবস্থায় ব্যবসা থেকে আয় করাই চ্যালেঞ্জ।
আয়কর কর্তাদের কতটা সত্যি বলেছেন ব্যবসায়ীরা, তা নিয়ে ময়নাতদন্তে নামে দপ্তর। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত এবং জেলাগুলি থেকে কতটা অগ্রিম আয়কর আদায় হল, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করে তারা। কোন এলাকায় কী কী শিল্প আছে, তার নিরিখে শুরু হয় বিশ্লেষণ। দেখা যাচ্ছে, যে এলাকাগুলিতে আয়কর আদায় কমেছে, সেখানকার শিল্পগুলিই মূলত মার খেয়েছে। সেই তালিকায় আছে কৃষিভিত্তিক শিল্প, সোনা, ব্যাঙ্ক, বিমা, চা, খনিজ, পাট, পরিবহণ, চর্ম ও অন্যান্য ট্রেডিং। শহরের কয়েকটি জায়গা, হাওড়া এবং শিলিগুড়ি ছাড়া প্রায় সর্বত্রই ধসেছে আয়কর আদায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আদায় ঋণাত্মক।
এমনকী নগদ জোগানের অভাবে ডাক্তার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী বা ইঞ্জিনিয়ারদেরও আয় কমেছে বলে জেনেছে আয়কর ভবন। এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই টালমাটাল গিয়েছে শেয়ারবাজার। কলকাতার ট্রেডিং সংস্থাগুলির অধিকাংশই একটি বড় অঙ্কের লগ্নি করে শেয়ারবাজারগুলিতে। সেখানে তারা মার খাওয়ায়, তার প্রভাব পড়েছে ব্যবসার হিসেবের খাতায়। পরিস্থিতি বিগড়েছে এতটাই, তাতে লাগাম দিতে চলতি বছরের গোড়াতেই সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস-এর পূর্বাঞ্চলের শীর্ষকর্তাকে (মেম্বার ইস্ট) দিল্লি থেকে কলকাতার বিমান ধরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।