পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
রবিবার বিকেলে বাবুঘাটের এই চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, মাথায় বোঁচকা নিয়ে কাতারে কাতারে মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাগরগামী বাসে ওঠার জন্য। পুলিসকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে সেই ভিড় সামাল দিতে। সেই লাইনেই দাঁড়িয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ভাগলপুরের বাসিন্দা পরশুরাম মণ্ডল, সীতারাম মণ্ডল, গীতা দেবী, শকুন্তলাদেবীরা। তাঁরা ৫০ জন একসঙ্গে এসেছেন। বাসে ওঠার লাইনে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন বলে জানালেন যুবক পরশুরাম। তিনি বলেন, এখানে তো খুবই ভালো ব্যবস্থা। আমরা এসে পৌঁছেছি শনিবার সকালে। তারপর এতক্ষণ যে এখানে থাকলাম, ঠাণ্ডায় কিছু সমস্যা ছাড়া আর কোনও অসুবিধা হয়নি। মাথায় বোঁচকা নিয়ে লাইনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা হরিশরণ শিং, শম্ভুপ্রসাদ সিং, বাসন্তী দেবী সহ আরও অনেকে। তাঁরা বলেন, এখানে মকরস্নান সেরে আমরা দেশে ফিরে যাব। আবার ৪ তারিখে কুম্ভে গিয়ে শাহিস্নান করব। ফেরার সময় বাস মিলবে কি না এইভাবে, সেসব নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা বিকাশ যাদব, রঘুলাল যাদবরা।
ইতিমধ্যে এখানে এসে পড়া শতাধিক সাধু গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন। ভক্তদের হাতে ছোট ছোট মিছিরির দানা দিয়ে ইতিমধ্যে নাম কিনে ফেলেছেন উত্তরাখণ্ডের অল্পবয়সি সাধু মিছরিবাবা। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন এবার সাগর যাব না। মকর সংক্রান্তির দিনে এখানেই গঙ্গায় স্নান করে কুম্ভের জন্য বেরিয়ে যাব। বাঙালি সাধু শনি মহারাজ বলেন, সাধুরা বলেন, গঙ্গায় জোয়ারের জল যতটা উঠে আসে, সেই অংশ পর্যন্ত গঙ্গায় স্নান করলেও মকর সংক্রান্তিতে স্নানের ফল মেলে। তাই এখন অনেকে সাগর পর্যন্ত যান না। এখানে প্রচুর মানুষের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ, মেলার আমেজ পুরোপুরি পাওয়া হয়ে যায় বলেই অনেক সাগর পর্যন্ত আর কষ্ট করে যেতে চান না। আমিও এবার যাব না। এখানেই স্নান সারব।
সাগরের বেলাভূমির মেলাস্থলে যেমন বহু মানুষ হারিয়ে যায় এবং ক্রমাগত মাইকে ঘোষণা চলতে থাকে দেশোয়ালি ভাষায়, তেমনই বাবুঘাটের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানেও বহু মানুষ হারিয়ে যাচ্ছেন। দলছুটরা মেলা কমিটির অফিসে গিয়ে মাইকে নিজেই আপনজনদের ডাকাডাকি করছেন। সূত্রের খবর, অন্যান্যবার ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু থাকে এই ক্যাম্প। এবার কোনও বিশেষ কারণে ১৫ তারিখেই ক্যাম্প গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ এসেছে। যা নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ এখানে নরনারায়ণ সেবায় রত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি।