পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশের উপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা থাকার কারণে উত্তুরে হাওয়া কিছুটা দুর্বল হয়েছে। এর প্রভাবে রাজস্থানের উপর যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে, সেটি উত্তুরে হাওয়াকে বাধা দিচ্ছে। এই কারণে তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। রবিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার এটা ১৩ ডিগ্রির নীচে ছিল। আজ, সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির আশপাশে থাকার সম্ভাবনা বেশি। সোমবারের পর তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে তা ১২ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কয়েকদিনের মধ্যে ফের একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দেবে কাশ্মীরে। তখন তাপমাত্রা ফের কিছুটা বাড়বে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় এদিনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল। কলকাতার কাছেই বারাকপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৭ ডিগ্রি। শ্রীনিকেতনে ৯.১ ডিগ্রি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এলেও শীতের আমেজ থাকছে। এর কারণ বঙ্গোপসাগরে কোনও বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়নি। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া দুর্বল হয়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়ছে।
আবার ঝঞ্ঝা চলে যাওয়ার পর উত্তুরে হাওয়া জোরালো হয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরপ্রদেশ, বিহার পর্যন্ত চলে এলে পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা হতো। তখন ঝঞ্ঝার প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতো। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা অনেকটা নেমে যেত। কিন্তু এবার ঝঞ্ঝার গতিপ্রকৃতির জন্য শীতকালে এখনও বৃষ্টি হয়নি। সব ঝঞ্ঝা পশ্চিম হিমালয় ও সংলগ্ন এলাকা হয়ে সরে যাচ্ছে। বড় জোর ঝঞ্ঝার একটা অংশ পূর্ব হিমালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে। যার প্রভাবে সিকিম ও দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাত আগেও হয়েছে। ফের হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে আগের বারের মতো দার্জিলিং শহরের আশপাশে তুষারপাত হবে কি না সেব্যাপারে আবহাওয়াবিদরা নিশ্চিত নন। তবে তুষারপাত না হলেও সেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।