পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
এদিন বৈঠকের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মূলত লোকসভা ভোটের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়েই অমিত শাহের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সাংগঠনিক শক্তির হালহকিকত সম্পর্কেও খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।’ বিজেপি সূত্রের খবর, বাংলায় দলের বুথ কমিটি এবং শক্তি কেন্দ্র তৈরির কাজ ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে কি না, তা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ২২টি আসনে জয়লাভ করতেই হবে। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণ করতে হলে তৃণমূলস্তরের সংগঠন মজবুত করা জরুরি, তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। আর সেই কথা মাথায় রেখেই বুথ কমিটি তৈরির কাজে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন অমিত শাহ। দলীয় সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা অমিত শাহকে জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ বুথ কমিটি এবং শক্তি কেন্দ্র তৈরির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এখনও প্রায় ১০-১৫ শতাংশ মতো কাজ বাকি রয়েছে। দলের বাংলার নেতাদের কাছ থেকে এহেন তথ্য পেয়েই অমিত শাহ নির্দেশ দেন, ‘আর সময় নষ্ট করবেন না। অবিলম্বে বুথ কমিটি এবং শক্তি কেন্দ্র তৈরির কাজ শেষ করুন। এবার সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অন্দরের খবর, এই প্রসঙ্গে এদিন বাংলার নেতাদের অমিত শাহ অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ‘শুধু আয়ুষ্মান ভারতই নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এরকম আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে, যেগুলির সফল বাস্তবায়ন বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এগুলি নিয়ে বাংলায় ব্যাপক প্রচার করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত প্রকল্পগুলির সুফল ব্যাখ্যা করতে হবে। বৃদ্ধি করতে হবে জনসংযোগ।’ রাজ্যে গণতন্ত্র বাঁচাও পদযাত্রার বকলমে দলের রাজনৈতিক রথযাত্রা নিয়ে কোনও কথা হয়েছে? প্রশ্ন করায় বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, ‘কোচবিহার, তারাপীঠ, নবদ্বীপ এবং হলদিয়া থেকে আমাদের রথ ছাড়বে। সাগরের বদলে হলদিয়া থেকে আমরা রথ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এগুলির বিস্তারিত রুট অমিত শাহকে আজ জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রথযাত্রা নিয়ে আইনি জটিলতা মিটে যাওয়া মাত্রই তিনি বাংলায় যাবেন।’ এদিন অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত দলীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গেও একপ্রস্ত মিটিং করে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব।