পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
সিবিএসই এমন অভিনব পদক্ষেপ করলেও, এখানকার বোর্ডগুলি কি সেই পথে হাঁটবে? শারীরশিক্ষার শিক্ষকদের একাংশের মতে, এমন অনেক ছাত্রছাত্রী আছে, যারা সক্রিয়ভাবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরে খেলাধুলোয় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে তাদের যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হয়। পরীক্ষার সময় এমন কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হলে, একটি বছর নষ্টই হয়। কারণ পরে আলাদা করে তার জন্য আর পরীক্ষা নেওয়া হয় না। আবার কেউ কেউ আছে, পড়াশুনার জন্য খেলাধুলো থেকে সরেই আসে। সিবিএসই’র মতো যদি এখানকার বোর্ডগুলিও যদি এমন পদক্ষেপ করে, তাহলে বহু খেলাপ্রেমী পড়ুয়ারা উপকৃত হবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের কথায়, সিবিএসই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এক প্রকার ঐতিহাসিক। আমাদের রাজ্যের তরফেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এমন কিছু ভাবা উচিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, একজন পড়ুয়ার সার্বিক উন্নতি কিন্তু পড়ুশোনার পাশাপাশি খেলাধুলো মিলিয়েই। সেক্ষেত্রে অনেক সময় পরীক্ষার বাধার কারণে বহু ছাত্রছাত্রী ছোট-বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। সিবিএসই যে পদক্ষেপ নিল, তা খুবই ভালো। এখানকার বোর্ডও যদি তা করতে পারে, তাহলে তা শুধু ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়, অভিভাবকদের কাছেও একটা বার্তা যাবে। খেলাধুলোর প্রতি আরও আগ্রহ বাড়বে।
সিবিএসই খেলাধুলোকে যেরকম গুরুত্ব দিচ্ছে, রাজ্যের শিক্ষকরাও সেরকমই কিছু চাইছেন এখানে। কারণ, নবম-দশম শ্রেণীতে শারীরশিক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। অথচ তা বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছিল। ফলে এখানেও বড়সড় খামতি থেকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষা দপ্তর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন করেও তেমন সাড়া মেলেনি। তাই শিক্ষকদের আর্জি, দিল্লি বোর্ডের মতো এখানেও খেলাধুলোকে আরও গুরুত্ব দিতে দেখা উচিত সরকারের।