পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশে থেকে সাগরমেলায় স্নান করতে এসেছেন এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক। নাম দিগ্বিজয় সিং। শনিবার সন্ধ্যায় আলো ঝকঝকে ব্যস্ততম মেলা অফিসের ভিতর ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অত্যাধুনিক মেগা কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থাপনা দেখে হতবাক ওই অফিসার। বললেন, এই ব্যবস্থা আমাদের ওখানকার কুম্ভতে কেউ ভাবতেই পারেনি। তিনি বলেন, ২০ বছর আগে একবার সাগরে এসেছিলাম। কিন্তু সে সময় তীর্থযাত্রীদের জন্য এত ভালো ব্যবস্থা ছিল না। এবার সেই বাবুঘাট থেকে শুরু করে কাকদ্বীপ লট-৮, কচুবেড়িয়া হয়ে সাগর পর্যন্ত পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা, যাতায়াতের সহজলভ্য ব্যবস্থা, আথিতেয়তা, থাকার সুব্যবস্থা থেকে খাবার, শৌচাগার, নজরদারি— সব মিলিয়ে তুলনা নেই। সবচেয়ে অবাক করেছে, এখানকার ভিড় নিয়ন্ত্রণের আধুনিক ব্যবস্থা। মেগা কট্রোলরুমে ঢুকে আরও অবাক হয়েছি। এক জায়গাতে বসে বাবুঘাট থেকে সাগর সব জায়গার তীর্থযাত্রীদের যাতায়াত, কোথায়-কখন গাড়ি ছাড়ছে, কোথায় কখন পৌঁছচ্ছে, ভেসেল কখন এপার থেকে ওপারে গেল, কোথায় আটকে রয়েছে, পুরোটাই ছবি সহকারে চলে আসছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য মাইকে বাস ও ভেসেলের সময় বলে দিচ্ছে। তার লাইভ ছবিও দেখা যাচ্ছে। কোথায় ফাঁক থাকলে এখানে বসেই তা ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।
মথুরাপুরের সংসদ সদস্য সিএম জাটুয়াও বললেন, অর্ধকুম্ভর থেকে অনেক ভালো এখানকার ব্যবস্থাপনা। কয়েকদিন আগে দিল্লি গিয়েছিলাম। সেখানেই এ নিয়ে কথা হচ্ছিল আমাদের সঙ্গে এক সময় রাজ্য পুলিসে কর্মরত অফিসার হরিশ মীনার সঙ্গে। বর্তমানে তিনি রাজস্থানের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। তিনি কুম্ভতে গিয়েছেন। সাগরেও এসেছেন। তিনিই বলেছেন, দু’টো মেলাই সর্বভারতীয়। কিন্তু এখন সাগরমেলা সব দিক থেকে এতটাই এগিয়ে গিয়েছে যে কুম্ভমেলার আয়োজকদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। একই কথা শোনা গেল মেলায় ডিউটিরত উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের বাসিন্দা এক অফিসারের মুখে। ৩ নম্বরে বাঁশের লকগেটের ব্যারিকেডের সামনে এক গাল হেসে হরিয়ানার প্রেম পুজারি বললেন, এ সাগর চেনা যাচ্ছে না। কয়েকদিন আগে এলাহাবাদের কুম্ভ থেকে স্নান সেরে এদিন সাগরে পা দিয়েছি। সরকারি তীর্থযাত্রীশালায় উঠেছি। তাঁর অভিজ্ঞিতা হল, সাগরের সঙ্গে অন্য কারও তুলনা চলে না। কারণ সাগরের মাহাত্ম্যই আলাদা। যতই কুম্ভমেলা হোক, সকলকে সাগরে এসে একবার ডুব দিতেই হবে।
গঙ্গাসাগরের পথে ভিনরাজ্যের পুণ্যার্থীরা। ছবি: কাজল দাস