যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রে খবর, এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার। তাতে বলা হয়েছে, আপাতত চার জুন পর্যন্ত শহরে মোতায়েন থাকবে এসএসটি। শহরের কোথাও কোনও অপরাধমূলক কাজ হচ্ছে কি না তার খোঁজখবরে সবদিক নজরে রাখবে টিম। ভিন জেলা থেকে কলকাতায় প্রবেশ করা গাড়িগুলি আচমকা তল্লাশি করতে পারে না সাদা পোশাকের পুলিস। তার জন্য শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, ধর্মতলা, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জে তল্লাশি চালাবে এসএসটি। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার থেকে পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছে এই বিশেষ দল। এখনও পর্যন্ত তাদের হাতে সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়েনি। লালবাজারের এক আধিকারিক বলেন, ২৪ ঘন্টাই নজরদারি চালাবে সাদা পোশাকের পুলিস। মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কাজ করবে এই টিম। কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং গোয়েন্দা বিভাগের একাংশকে নিয়ে এই দল তৈরি হয়েছে। পুলিস সূত্রের দাবি, নির্বাচনের সময় শহরে নগদ টাকা ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় বাড়তি সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রয়োজন হয়।। অনেক সময় দুষ্কৃতীরা চাপা রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে। এই সব মোকাবিলা করতে মাঠে নেমেছে এসএসটি। শহরজুড়ে দু’দিনে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি গাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে তারা। তবে গাড়ি থেকে সন্দেহজনক কোনও বস্তু কিংবা টাকা উদ্ধার হয়নি।
উল্লেখ্য, এসএসটি ছাড়াও ফ্লাইং স্কোয়াডকেও নির্বাচনের নজরদারিতে মোতায়েন করেছে লালবাজার। তবে তা শহরের সমস্ত জায়গায় নয়। নির্বাচন কমিশনের তরফে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক শহরের যে সমস্ত এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছেন সেখানে নজরদারি চালাবে এই বিশেষ দল।