শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিটি রাজনৈতিক দল একইভাবে আশ্বাস দেয়। বামফ্রন্টের ৩৪ বছর আর তৃণমূলের ১০ বছরে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হল না। বিজেপি ক্ষমতায় এসে কতটা কাজ করবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। জনবসতি বেড়েছে শহরে। ফাঁকা জায়গার অভাব। জল নিকাশি নিয়ে গণ্ডগোল বাঁধে প্রায়।
বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ অভিযোগ করেন, তারকেশ্বর বিধানসভা এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য কোনও কাজ হয়নি। গরিব মানুষকে সরকারি বাড়ি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন নেতারা। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়েনি। সাধারণ শারীরিক সমস্যা হলে রোগীকে ছুটতে হয় মহকুমা অথবা কলকাতার হাসপাতালে। একদিকে জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই। তার উপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জল নিকাশি ব্যবস্থার উপর দোকান, কালভার্ট তৈরি করেছেন অনেকে। এতে সমস্যা আরও বেড়েছে। বাম আমলে এবং তৃণমূল আমলেও এলাকার মানুষ বারেবারে দাবি তুলেছে, নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করা হোক। কিন্তু প্রতি ভোটে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে শাসকদল। এখন আবার ভোটের আগে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সকলেই জানেন, কাজের কাজ কিছু হবে না। আর কিছু দিনের অপেক্ষা। তৃণমূল ক্ষমতা থেকে সরলে তবেই তারকেশ্বরের মানুষ প্রকৃত পরিষেবা পাবে।
তবে তৃণমূল বলছে, ইতিমধ্যেই তারকেশ্বরে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করতে ৬০ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ১১৪ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। ৫ জানুয়ারি ২০২১ তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে স্ট্রং ওয়াটার ড্রেনেজ সিস্টেম প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। তবে কাজ শুরু হয়নি এখনও। তারকেশ্বর পুরসভা ও তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় করে ৫টি পাম্পিং স্টেশন তৈরির জন্য জায়গাও কিনেছে।
স্থানীয় মানুষকে তৃণমূলের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়ে তারকেশ্বর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম ভান্ডারী জানান, ২০১০ সালে তারকেশ্বর পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। ২০১১ রাজ্যে তৃণমূল সরকার গঠন করার পর নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে মাষ্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়। ২-৩ মাস সময় ধরে গত ৩০ বছরে তারকেশ্বরে বৃষ্টির পরিমাণ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে সংগ্রহ করা হয়। পুরো পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় কেন্দ্রে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার বদল হয়। ধীর গতিতে চলতে থাকে প্রক্রিয়া। অবশেষে অনুমোদন মিলেছে। দু’বার টেন্ডার করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে কাজ শুরু হবে। এই নিয়ে বামেদের দাবি, ভোটের আগে নিকাশি ব্যবস্থায় বরাদ্দ ঘোষণা তৃণমূলের রাজনৈতিক চমক মাত্র।