প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
শনিবার হেলিকপ্টারে করে কাকদ্বীপ যাওয়ার জন্য বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে আসার পথে তিনি দেখেন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনস্থ এলাকায় কয়েকশো মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানান, উম-পুনের পর প্রায় সাড়ে তিন-চার দিন কাটতে চললেও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে গোটা এলাকা। পানীয় জল মিলছে না। তাহলে বাঁচব কীভাবে? গাছগুলি রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে। কোনও কাজ হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, ধৈর্য ধরুন। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
এরপর বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের কাছ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। ১৯৩৭ সালের পর উম-পুন কলকাতার সব থেকে বড় বিপর্যয়। ইচ্ছে করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটানো হয়নি। বিপর্যয়ে পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। টেলি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। সচিবালয়ের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এরপরই জনতাকে বলেন, কেউ পিছন থেকে উস্কানি দিলেই রাস্তায় নেমে অবরোধ বা বিক্ষোভ করবেন না। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
দক্ষিণ শহরতলিতে মুখমন্ত্রী যখন বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করছেন, তখন শহরের অন্য প্রান্তগুলিতে বেলা বাড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়। ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সরণী, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা, ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের সুলেখা মোড়, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুর ও উত্তর পঞ্চান্ন গ্রাম, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের কসবার বিস্তীর্ণ অংশ, যাদবপুরের সাঁপুইপাড়া, উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া রোড, ১০৫ এবং ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গড়ফার বিস্তীর্ণ এলাকা, ই এম বাইপাস-যাদবপুর কানেক্টর, সার্ভে পার্ক, বেহালা-ঠাকুরপুকুর সহ শহরের বহু এলাকায় গাছের গুঁড়ি রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। গড়ফায় সিইএসসি’র কর্মীদের আটকে রাখা হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দপ্তরে ফোন করলেও কেউ তা ধরছে না, মেরামত করতেও কেউ আসছে না। বিক্ষোভ ছড়িয়েছে মহেশতলাতেও। পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।