প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এর সঙ্গে যুক্ত হয় মোবাইল পরিষেবা নিয়ে সঙ্কট। বিভিন্ন জায়গা থেকেই যে সব অভিযোগ এসেছে, তার মূল সুর ছিল একই। মোবাইলে কোনও কলই করা যাচ্ছে না। ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রেও একই হাল। ফলে মূলত অফিসকাছারির কাজকর্মে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। তবে এরই মধ্যে একমাত্র জিও’র পরিষেবা অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। ফলে বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কর্মসূচির খবরাখবর পেতেও কোনও সমস্যা হয়নি।
মহানগরীতে এদিন অবরোধ হয়েছে গড়িয়া, যাদবপুর, বাঘাযতীন, বিজয়গড়, বেহালা, টালিগঞ্জ সহ উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায়। অন্যদিকে একই চিত্র ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন অংশে। বারাকপুর মহাকুমার সর্বত্রই মানুষ পানীয় জল নিয়ে ছিলেন জেরবার। বেলঘরিয়া, বরানগর, সোদপুর, পানিহাটি, ঘোলা, টিটাগড়, খড়দহ, নৈহাটি প্রায় সব জায়গাতেই নিত্য ব্যবহারের জলটুকুও মেলেনি। বাধ্য হয়ে অনেককে চড়া দরে জল কিনেই চাহিদা কোনওরকমে মেটাতে হয়েছে। জলের দাবিতে ক্ষিপ্ত মানুষ বেলঘরিয়া, নীলগঞ্জ রোড, সোদপুরের ট্রাফিক মোড়ে অবরোধ করেন। বিধাননগর পুরসভা এলাকার সংযুক্ত এলাকা ছাড়াও রাজারহাট-গোপালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাতে এদিন চিত্রটা ছিল আরও ভয়াবহ। একেকটি টিউবওয়েলে জল নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ১৫০ থেকে ২০০ জন মানুষ। এক বাসিন্দার তিক্ত অভিজ্ঞতা দু বালতি জল ভরতে তাঁকে ব্যয় করতে হয়েছে তিন ঘণ্টা।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন জল-জঙ্গল ঘেরা সুন্দরবন সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু এলাকার মানুষ। সেখানে বিদ্যুতের অজস্র খুঁটি উপড়ে পড়ে পরিষেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা কেউই বলতে পারছেন না।
প্রায় সর্বত্র বিদ্যুৎহীন অবস্থা। ভেঙে পড়া গাছ তাড়াতাড়ি সরানো হচ্ছে না যার জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না, অভিযোগ অনেকের। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সব কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা।