বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, পরিষদের নিজস্ব আয় বাড়ানো খুবই জরুরি। তাতে উন্নয়নের কাজ করার রাস্তা প্রশস্ত হয়। কিন্তু জেলা পরিষদের নিজস্ব সম্পদগুলির যর্থার্থ ব্যবহারই হচ্ছিল না। আমরা সভাধিপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সেই কাজে হাত দিয়েছি। বাজার কমিটিগুলিকে সেই কারণেই ডাকা হচ্ছে। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সম্প্রতি নিজস্ব তহবিল মজবুত করার লক্ষ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাজারগুলি থেকে অর্থসংগ্রহের পদ্ধতিতে বদল আনা প্রয়োজন। জেলা পরিষদের উন্নয়নের নীতিই হচ্ছে নিজস্ব সম্পদ তৈরির মাধ্যমে আয়ের পথ প্রশস্ত করা। আগে কি হয়েছে সেটা অপেক্ষা আমাদের কি করতে হবে সেদিকেই মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বাজার কমিটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সেটা করা হবে।
গত কয়েকমাস ধরেই হুগলি জেলা পরিষদ নিজস্ব ভাঁড়ার মজবুত করার লক্ষ্যে তৎপর হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি জেলাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জেলা পরিষদের অতিথি আবাসগুলিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়। এজন্য ওই অতিথি আবাসের একাংশকে সাজিয়ে তুলতে অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ দীঘা পর্যটন কেন্দ্রকে সাজিয়ে তুলতে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা, চণ্ডীতলার অতিথি আবাসের জন্যে ৯৫ লক্ষ টাকা ও সোয়াখাল পর্যটন কেন্দ্রের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার চণ্ডীতলার অতিথি আবাস নতুন পরিকাঠামো তৈরির জন্যে বিশেষজ্ঞ সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠক করে গিয়েছেন।
এই পরিকল্পনা রূপায়ণের মাঝেই এবার আয়ের বিকল্প পথ খুলতে জেলা পরিষদের বাজারগুলির দিকে নজর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেলা পরিষদের এই বাজারগুলি চণ্ডীতলা, সিজা কামালপুর, ব্যান্ডেল ও সিঙ্গুরে আছে। অভিযোগ, জনপ্রিয় এই বাজারগুলি থেকে ঠিকঠাক অর্থ সংগ্রহের কাজই এতদিন জেলা পরিষদ করতে পারেনি। ফলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু তহবিল মজবুত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকে পড়া জেলা পরিষদ এবার এই বাজারগুলি থেকে আয়ের রাস্তা প্রশস্ত করতে চাইছে। প্রত্যেক দোকানিকে পৃথকভাবে দোকানের অধিকার দেওয়ার সঙ্গে দোকান পিছু প্রাপ্য অর্থের কাঠামোতেও বদল আনতে চাইছে জেলা পরিষদ। এতে বিরাট পরিমাণ বাৎসরিক আয় হবে বলে জেলা পরিষদ কর্তারাই জানাচ্ছেন। জেলা পরিষদের এক কর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদের বাৎসরিক আয় যাতে তিন কোটি টাকা হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পরিষদের লক্ষ্য ওই আয়কে ১০ কোটিতে নিয়ে যাওয়া। এজন্য আরও কিছু পদক্ষেপ আগামীতে করা হবে।