বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
শনিবার, কলকাতা পুরসভায় সব বরো চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই পুরসভা সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পয়লা জানুয়ারি তাঁর এই স্বপ্নের প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এর আওতায় রয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ। নতুন করে কলকাতা পুর এলাকার প্রায় দেড় থেকে দু’লক্ষ কার্ড বিলি হলে এই সংখ্যাটা একলাফে অনেকটাই বেড়ে যাবে। প্রথমে কলকাতা পুরসভা এলাকার প্রান্তিক, বস্তিবাসী, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক মিলিয়ে ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭ পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্ভুক্ত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৮৪ পরিবারকেই এর আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। মূল্যায়ণ করতে গিয়ে দেখা যায়, ২০১১ সালের সোশিও ইকোনমি কাস্ট সেন্সাস অনুসারে বিপিএলের যে তালিকা ছিল, তার মধ্যে অনেকেরই খোঁজ মিলছে না। প্রায় দেড় লক্ষ পরিবারের কোনও হিসেব নেই। কারণ হিসেবে দেখা যায়, অনেকেই কজের সূত্রে এই শহরে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ফিরে গিয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত হয়, ২০১৪-১৫ সালে সংশোধিত বিপিএল তালিকা যা ধরে খাদ্যসাথীর নথিভুক্তকরণ চলেছে সেটাই মাপকাঠি হিসেবে ধরা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত মিলেছে। এক পুরকর্তার কথায়, বাকি পড়ে থাকা এই রকমের পরিবারের সংখ্যাটা প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজারের কাছাকাছি হতে পারে।
কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী মার্চের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহেই কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে নির্বাচন ঘোষণার আগেই স্বাস্থ্যসাথী’তে এই অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শেষ করে কার্ড বিলির কাজ শুরু করতে তৎপর পুর প্রশাসন।