যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
সম্প্রতি পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদের কথা সর্বসমক্ষে এনেছেন ইন্টান্যাশনাল জেমিনি অবজারভেটরি এবং ন্যাশনাল অপটিক্যাল ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যাসপার উইয়ের্জকোস এবং থিওডোর প্রুয়েনে প্রথম এই ছোট চাঁদের খোঁজ পান। ওই দিন অবজারভেটরি থেকে মহাশূন্যে নজর রাখছিলেন তাঁরা। আচমকাই দু’জনে দেখেন একটি উজ্জ্বল বস্তু পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে। কিন্তু সেটির পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনও লক্ষণ ছিল না। পরে দেখা যায়, মোটরগাড়ির আকৃতির গ্রহাণুটি চাঁদের মতোই নিজস্ব গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, মহাকাশে ভাসতে ভাসতেই আমাদের গ্রহের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে গ্রহাণুটি। পৃথিবীর অভিকর্ষজ টানের প্রভাবেই সেটি বেরিয়ে যেতে পারেনি। মনে করা হচ্ছে, ২০১৭ সাল থেকেই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে পাক খেয়ে চলেছে গ্রহাণুটি। কিন্তু এতদিন কারও চোখেই ধরা পড়েনি তার অস্তিত্ব। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, আগামী কয়েকমাসের মধ্যে এটি পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাবে। উপগ্রহটি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া এটি দ্বিতীয় গ্রহাণু, যেটি পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। এর আগে প্রথম গ্রহাণু ‘২০০৬ আরএইচওয়ান ২০’-কে ২০০৬ এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ এর জুন পর্যন্ত পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল।