যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার এই আসনে জোড়াফুল ফোটে। আবু তাহের খান দুই লক্ষাধিক ভোটে কংগ্রেসের আবু হেনাকে পরাজিত করেন। মুর্শিদাবাদ শহরের চক বাজারের একটি চায়ের দোকানে সান্ধ্য আড্ডায় বসেছিলেন এলাকার কয়েকজন প্রবীণ বাসিন্দা। কোন দল জিতবে সেই নিয়ে চলছিল জোর আলোচনা। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ব্রজেন মিত্র উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, মুর্শিদাবাদ আসন বরাবর কংগ্রেস ও সিপিএমের দখলে থাকলেও মুর্শিদাবাদ শহর এবং এই কেন্দ্রের অন্যান্য বিধানসভা এলাকায় উন্নয়নের জন্য দুই দলের সাংসদরা কোনও দিন কিছুই করেননি। কিন্তু গত নির্বাচনে শাসক দল আসনটি পেতেই রাস্তাঘাট, পানীয় জল, আলোর সমস্যা মিটেছে। নবাবের শহর লালবাগ পর্যটন শহর হিসেবে রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে অনেকটাই উপরে উঠে এসেছে। শহরের চেহারা পুরোটাই পাল্টে দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প চালু করে মানুষের জীবনযাত্রার মান্নোনয়ন ঘটিয়েছে। কাজেই উন্নয়নের নিরিখে মানুষ তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। পাশে বসে থাকা মহম্মদ বাসির মোল্লা বলেন, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের গড়। গত দু’টি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর পরাজয় হয়েছিল। তবে এবার আমরাই জিতব। জিয়াগঞ্জ শহরে স্টেশন রোড সংলগ্ন একটি মাঠে সকালে নিয়মিত হাঁটতে আসেন বিভিন্ন বয়সের বেশ কিছু নাগরিক। হাঁটা শেষ করে মাঠেই রাজনীতির আলোচনা জুড়ে দিলেন। কেউ কংগ্রেস প্রার্থীকে এগিয়ে রাখছেন, কেউ আবার তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে সিপিএম প্রার্থীকে জিতিয়ে দিচ্ছেন। কেউ আবার শাসকদলের প্রার্থীর জয় নিয়ে এতটাই নিশ্চিত যে বড় অঙ্কের বাজি ধরতে পিছপা হচ্ছেন না। দিনের শেষে পার্কে মনের কথা শেয়ার করতে আসা প্রবীণদের মধ্যেও সাংসারিক সুখ দুঃখের আলোচনা উধাও। ওখানেও ঠাই পাচ্ছে ভোটের গরমাগরম আলোচনা।
তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বলেন, উন্নয়নের নিরিখে মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। গতবারের চেয়ে বেশ ভোটের ব্যবধানে জিতব। বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও মোদিজির হাত শক্ত করতে মানুষ একচেটিয়া পদ্মফুলে ছাপ দিয়েছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, তৃণমূল ও বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ। তাই আমরাই জিতব।