যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
নির্বাচন এলেই বেলডাঙার বাতাস বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বেলডাঙায় পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রশাসনের কর্তাদের চোখের ঘুম কেড়ে নেয়। নির্বাচন এলেই হার্ডওয়্যার দোকানগুলিতে সকেটের চাহিদা বেড়ে যায়। কার্যত এই সময়ে প্রায় প্রতিটি দোকানে বস্তা বস্তা সকেট বিক্রি হয়। এক সময় জর্দার কৌটোর চাহিদা ছিল। প্রযুক্তির যুগে এখন সেই জায়গা লোহার সকেট দখল করেছে। দু’দিকে থ্রেড দেওয়া ছ’ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের দেড় ইঞ্চি বোরের লোহার নিপলের দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি। চার ইঞ্চি সাইজের দাম ৬০ টাকা প্রতি কেজি। একটি নিপলের দু’ দিকে দু’টি ক্যাপ লাগে। দু’টি ক্যাপের দাম একত্রে ৬০ টাকা। নাম প্রকাশ না করে বোমা বানানোর এক কারিগর বলেন, একদিকের ক্যাপ লাগিয়ে স্তরে স্তরে বারুদ, পাথরের কুচি, কাচ, লোহার কুচি (স্প্লিনটার) ঠেসে সাজানো হয়। প্রত্যেক স্তরে একটা করে মোটা কাগজ দেওয়া হয়। এরপর অপর দিকের ক্যাপ টাইট করে দেওয়া হয়। বাজারে প্রশাকি নাম সকেট বোমা। দাম পাঁচশো থেকে ছ’শো টাকা। বোমা বেলডাঙার কুটির শিল্প। বেলডাঙা এক হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী বলেন, আমরা দোকান খুলে রেখেছি মাল বিক্রির জন্য। সেই মাল কিনে কে কোন কাজে লাগাচ্ছে আমাদের তাতে মাথাব্যথা নেই। আর এক ব্যবসায়ী বলেন, সকেট বিক্রির ক্ষেত্রে রাজ্য বা কেন্দ্র কোনও নিয়ম বেঁধে দেয়নি। গত একমাসে দু’ বস্তা সকেট বিক্রি করেছি।