যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
প্রথমে ভগ্ন সমুদ্রবাঁধের উপর গ্রানাইট, বোল্ডার ফেলে অস্থায়ী প্রতিরোধ তৈরি করা হয়। তারপর মাটির প্রাকৃতিক বাঁধের গায়ে কংক্রিটের শক্তপোক্ত বাঁধ দেওয়া হয়। কংক্রিটের বাঁধ প্রশস্ত করতে যথেষ্ট জায়গার প্রয়োজন ছিল। সমুদ্রতীরে যাঁদের জমি রয়েছে, তাঁরা এগিয়ে এসে জমি দিয়েছেন। কংক্রিটের সমুদ্রবাঁধ তৈরি সহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রায় ৮০কোটি টাকা খরচ করেছে সেচদপ্তর। কয়েকমাস আগে কাজ শেষ হয়েছে। এই শক্তপোক্ত কংক্রিটের বাঁধ সৈকত সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামকে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে চলেছে। যা তৃণমূলের প্রচারে তুরুপের তাস।
যদিও এই ইস্যু নিয়ে প্রচারে লাভ হবে না বলে দাবি বিরোধীদের। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। কয়েকটা বছর অপেক্ষা করুন। তারপর উপকূল এলাকার মানুষ বুঝতে পারবেন, আসলে কী কাজ হয়েছে। বিষয়টি আমাদের প্রচারে উঠে আসছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আশিস প্রামাণিক বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন সমুদ্রবাঁধ ভাঙন রোধে স্থায়ী পরিকল্পনা হয়েছিল। তৃণমূল সরকারের বাঁধ তৈরি করতে এত বছর লেগে গেল। এটাই আমরা মানুষকে বলছি।
দীর্ঘদিন ধরেই তাজপুর থেকে জামড়া-শ্যামপুর পর্যন্ত সমুদ্রবাঁধ দুর্বল ছিল। কাঠের বল্লি পুঁতে তার মধ্যে গ্রানাইট পাথর ও বোল্ডার ফেলে ভাঙন ও জলোচ্ছাস আটকানো হতো। প্রতি বছরই বর্ষাকালে দুর্বল সমুদ্রবাঁধ উপচে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকে পড়ত। স্থানীয়দের যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। তিন বছর আগে ‘উম-পুন’ ঘূর্ণিঝড়ে সমুদ্রবাঁধের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। পরের বছর ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে জলোচ্ছ্বাস সমুদ্রবাঁধে কংক্রিটের বাঁধন ছিন্নভিন্ন করে। সেসময় তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রামের পর গ্রাম সমুদ্রের জল ভাসিয়ে দিয়েছিল। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন। এখন স্থায়ী সমুদ্রবাঁধ তৈরি হওয়ায় সেই আতঙ্ক কেটেছে।
তালগাছাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ জানা বলেন, সিপিএম দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও সমুদ্রবাঁধের ভাঙন রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল সরকার স্থায়ী সমাধান করেছে। এলাকাবাসীর আতঙ্ক দূর হয়েছে। এটাই আমরা প্রচারে তুলে ধরছি।