কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওইদিন মমতার সভায় ‘সিএএ মানছি না মানব না’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে উদ্বাস্তুরা হাজির হয়েছিলেন। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির দিকে উদ্বাস্তু ভোট ঝুঁকেছিল। তাই এবার মমতার সভায় উদ্বাস্তুদের ভিড় রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটিতে প্রচুর উদ্বাস্তু রয়েছেন। এই ব্লকে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোটার। ৬০ শতাংশ হিন্দু ভোটারের মধ্যে ৩০ শতাংশই উদ্বাস্তু। তাঁদের মধ্যে মতুয়াও রয়েছে। কৃষ্ণনগর-১ ব্লকেও উদ্বাস্তু রয়েছে। সবমিলিয়ে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ১৯ শতাংশ উদ্বাস্তু ভোটার রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই উদ্বাস্তু ভোট যেদিকে যাবে, সেই দলই লিড পাবে।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র হাজার ছয়েক ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে এই বিধানসভা কেন্দ্রে ৮২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। তবে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভার উদ্বাস্তু অধ্যুষিত কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে ১৯ হাজার ভোটে এগিয়ে যান। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৯ হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করেন উজ্জ্বলবাবু। পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূল ভালো ফল করে। তাই উদ্বাস্তুরা তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে বলে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস দাবি করেন। তিনি বলেন, এবার এই কেন্দ্র থেকে উদ্বাস্তুরা তৃণমূলকে ভোট দেবেন। মহুয়া মৈত্র নিশ্চয়ই এখান থেকে লিড পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বাস্তুদের পাট্টা দিয়েছেন। শুধুমাত্র এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় পাঁচহাজার মানুষ পাট্টা পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বাস্তুরা তৃণমূলের সঙ্গে আছেন।
বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, সিএএ’কে ইস্যু করে তৃণমূল ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যে সমস্ত লোককে প্ল্যাকার্ড ধরানো হয়েছিল, তারা আসলে তৃণমূল কর্মী। তাদের উদ্বাস্তু সাজিয়ে জনসভায় আনা হয়ছিল। উদ্বাস্তুরা আমাদের সঙ্গে আছেন।