কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নন্দপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ৭৮৫ জন সদস্যকে আমন ও পান চাষের জন্য ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। গত ১৬ এপ্রিল ওই সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ তারিখ আরও ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়ে ঋণ দেওয়া হয়। ২০ তারিখ শনিবার সমবায় সমিতির ম্যানেজার কৌশিক খাঁড়া ও ক্লার্ক কার্তিক রানা টাকা তুলতে চণ্ডীপুরে যান। বেলা আড়াইটা নাগাদ তাঁরা নগদ ৩০লক্ষ টাকা তুলে বাইকে নন্দপুর সমবায় সমিতিতে ফিরছিলেন। এড়াশাল গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে একটি বাইকে থেকে দু’জন নিজেদের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ম্যানেজার ও ক্লার্ককে থামায়। ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে ব্যাগ তল্লাশি করতে চায়। ক্লার্ক বাইক চালাচ্ছিলেন। ম্যানেজার টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে বসেছিলেন। দুই দুষ্কৃতী ব্যাগ তল্লাশি করতে চাইতেই ম্যানেজার জানান, ব্যাগে টাকা আছে। পাশাপাশি বৈধ কাগজপত্রও আছে। টাকা ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখার সময় আচমকা আরএকটি বাইকে একজন আসে। নিমেষের মধ্যে নগদ ৩০ লক্ষ টাকার মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। পিছনে অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্যান্য যানবাহনের ভিড় লেগে যাওয়ায় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্লার্ক চণ্ডীপুরে ব্যাঙ্কে ফিরে যান। সেখানে নগদ গোনার সময় দেখা যায়, পাঁচ লক্ষ হাপিস।
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই গোটা জেলায় ফ্লাইং স্কোয়াড টিম কাজ করছে। নগদ ৫০হাজার টাকা কিংবা তার বেশি নিয়ে যাতায়াত করার সময় উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না থাকলে বাজেয়াপ্ত হতে পারে। জেলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৬০লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা নিজেদের নির্বাচন কমিশনের কর্মী পরিচয় দিয়ে তল্লাশি করতে চায়। ঘটনায় আকস্মিকতায় ম্যানেজার কৌশিক খাঁড়া নগদ অর্থভর্তি ব্যাগ বাড়িয়ে দেন। পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি তাঁরা বুঝতেই পারেননি।
দিবাকরপুর হাইস্কুলের শিক্ষক তথা ওই সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক সত্যকিঙ্কর সামন্ত বলেন, তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চণ্ডীপুর শাখার অধীনে মোট ২৭টি সমবায় সমিতি আছে। লোনের টাকা ওই শাখা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই টাকা নগদের পরিবর্তে অ্যাকাউন্টে পাঠানোর জন্য দাবি জানানো হলেও সেটা কার্যকর করা হয়নি। তাহলে হয়তো এরকম ঘটনা এড়ানো যেত।
ম্যানেজার বলেন, এভাবে দুষ্কৃতীরা নির্বাচন কমিশনের কর্মী পরিচয় দিয়ে লুট করে নিতে পারে তা ভাবতেই পারিনি। ওই ঘটনার পর চণ্ডীপুর থানা এফআইআর করেছি। চণ্ডীপুর থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।