কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সোমবার দুপুরে খড়্গপুরের একটি বেসরকারি অতিথিশালায় মেদিনীপুর ও খড়গপুর সাংগঠনিক জেলার প্রায় ১৫০ জন নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক। গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে কড়া দাওয়াই দেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মেদিনীপুর ও ঘাটাল এই দু’টি আসনেই জিততে হবে। প্রত্যেক বুথ থেকে জিততে হবে। যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূলের লিড কম হবে, ভোটের পর তা পর্যালোচনা করা হবে। যদি ফল খারাপ হয়, তাহলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থেকে দলীয় পদ যাবে প্রত্যেকেরই। অভিষেকের এই বার্তার পর থেকেই পদ হারানোর ভয়ে কাঁপছেন অনেকেই। ফলে, এখন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে দুই তারকা প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছেন তাঁরা।
দেব এখন রাজনীতিতে অনেকটাই পরিণত বলে রাজনৈতিক মহলের মত। অভিষেকের বার্তাকে পুরোদস্তুর কাজে লাগাতে তিনি রাতেই চলে যান কেশপুরে। সঙ্গে নেন শিউলি সাহাদের। নির্বাচনী কমিটিকে ঘিরে দলের যত গণ্ডগোল এখানেই। কোন্দল মেটাতে রাতেই নির্বাচনী কমিটির বৈঠক সারেন দেব। কেশপুরের গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলের পুরাতন রোগ। একদিকে ব্লক সভাপতি প্রদ্যোৎ পাঁজা, অন্যদিকে বিধায়ক শিউলি সাহা। ব্লক সভাপতিকে সরাতে দীর্ঘদিন ধরেই সচেষ্ট শিউলি। কিছুদিন আগেও নির্বাচনী কমিটি তৈরি নিয়ে দেবের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই গোষ্ঠীর নেতারা। তার জেরে গত মাসখানেক ধরে প্রায় সাত বার নির্বাচনী কমিটি তৈরি হয়েছে। স্বয়ং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি কমিটি তৈরি করে দেওয়ার পরেও কোন্দল থামেনি।
সোমবারের বৈঠকে অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সুব্রত বক্সি তৈরি কমিটিই শেষ কথা। বৈঠকে থাকা এক নেতা বলেন, ‘বৈঠকে অবশ্য ব্লক সভাপতিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু শিউলি কেশপুরের বাসিন্দা নন, তাই কেশপুরে থেকে যাঁরা সংগঠনের কাজ দেখাশোনা করছেন, দলে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি।’ সূত্রের খবর, গত বারের থেকে এবারে কেশপুর থেকে আরও বেশি ভোটে লিড দেওয়ার টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অভিষেক। গতবারে ৯২ হাজার লিড ছিল।
তবে শুধু কেশপুর নয়, ঘাটাল, কেশপুর, ডেবরা, মোহনপুর সহ যে সমস্ত ব্লকের সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্বের চোরাস্রোত রয়েছে, সেই সমস্ত ব্লকের নেতাদেরও সতর্ক করে দিয়েছেন অভিষেক। বিশেষ করে ঘাটালের শঙ্কর দলুই, ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবির, দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধানকে ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে বলেছেন। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘অভিষেকের অদৃশ্য চোখ সবাই উপরেই রয়েছে। এটা দলের অগ্নিপরীক্ষার সময়। তাই মতানৈক্য ভুলে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। নিজেদের মধ্যে কোন্দল করে যাঁরা দলকে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।’